
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান তাদের জাতীয় প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় এক নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে। ১৬ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার আফগান ন্যাশনাল আর্মি ৪০০ কিলোমিটার দূরপাল্লার একটি ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষা চালিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ্। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি এমন এক সময় এলো, যখন প্রতিবেশী পাকিস্তান একাধিক বার আফগান আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা চালিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। এই পরীক্ষাকে অনেকেই আফগান সার্বভৌমত্ব ও আত্মরক্ষার দৃঢ় প্রতীক হিসেবে দেখছেন।
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের অংশ। ইমারতে ইসলামিয়া সরকার বলেছে, সীমান্ত সুরক্ষা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে এখন থেকে কোনো আপস হবে না। সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে আধুনিক অস্ত্র, প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ দিয়ে শক্তিশালী করা হবে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর কয়েক দফা সীমান্ত লঙ্ঘন ও ড্রোন হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইমারতে ইসলামিয়া। আফগান কর্মকর্তারা বলছেন, এসব হামলা “ভয় দেখানোর কৌশল” মাত্র, যা দেশের স্বাধীনচেতা জনগণকে দমাতে পারবে না। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা কোনো আগ্রাসনের সামনে নত হইনি, হবোও না। যারা অন্যের ইশারায় আমাদের ভূমিতে আগুন ছড়াতে চায়, তারা ইতিহাসের অন্ধকারেই হারিয়ে যাবে।”
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিছক সামরিক সাফল্য নয়, বরং স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। এটি সেই জাতির ঘোষণা, যারা দখলদারিত্ব, আগ্রাসন ও অন্যের আধিপত্যের বিরুদ্ধে বারবার উঠে দাঁড়িয়েছে। আজ যখন সীমান্তে উত্তেজনা, তখন কাবুলের এই বার্তা স্পষ্ট—আফগান ভূমি কারও জন্য যুদ্ধক্ষেত্র নয়, বরং এটি এক সার্বভৌম জাতির প্রতিরোধের দুর্গ।
তথ্যসূত্র:
1. Afghan National Army successfully tested a long-range missile with a range of 400 kilometers last night
– https://tinyurl.com/3f6zpsm2


