
হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলার জেরে টঙ্গী থেকে নিখোঁজ প্রবীণ আলেম মুফতি মহিবুল্লাহ মাদানীকে সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানকার সদর থানার হেলিপ্যাড বাজার এলাকায় ২৩ অক্টোবর ভোরে একটি গাছের সঙ্গে হাত-পা শিকলে বাঁধা অবস্থায় তাঁকে পাওয়া যায়। এসময় তিনি অজ্ঞান ও উলঙ্গ অবস্থায় ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই আলেমকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে সেখানে নেওয়া হয়েছিল।
স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে ত্রিপল নাইনে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে এবং পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে দুপুরে তিনি জ্ঞান ফিরে পান। জ্ঞান ফিরে পেয়ে মুফতি মহিবুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল এবং অপহরণকারীরা তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করেছে।
তিনি বলেন, ‘২২ অক্টোবর সকাল ৭টার দিকে হাঁটতে বের হলে পাঁচজনের একটি দল টঙ্গীর মাজুর খান এলাকা থেকে আমাকে অপহরণ করে। জায়গাটি আমার মসজিদ থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে। তারা আমাকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে চোখে কালো কাপড় বেঁধে ফেলে এবং মাথায় জোরে আঘাত করে অজ্ঞান করে দেয়। এরপর কী ঘটেছিল, তা আর কিছু মনে নেই।’
তিনি আরও জানান, প্রায় ১১ মাস ধরে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাঁকে একাধিক হুমকিমূলক চিঠি পাঠিয়েছে। এসব চিঠিতে ইমাম হিসেবে তাঁকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছিল- অখণ্ড ভারত ও ইসকনের পক্ষে বক্তব্য দেওয়া, বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সমালোচনা করা, এবং বিএনপি ও এনসিপির বিরুদ্ধে কথা বলা। চিঠিগুলিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, মুসলিম মেয়েরা হিন্দু ছেলেদের সঙ্গে প্রেম করতে কোনো বাধা নেই এমন বার্তা যেন তিনি মিম্বরে বসে কৌশলে প্রচার করেন।
বর্তমানে তাঁর অবস্থা সম্পর্কে জানা গিয়েছে, চিকিৎসা শেষে গতকাল (২৩ অক্টোবর) রাতে পঞ্চগড় থানা পুলিশ মুফতি মহিবুল্লাহকে তাঁর পরিবার ও একটি আলেম প্রতিনিধি দলের কাছে হস্তান্তর করেছে। এই সময় তাঁর দুই ছেলে, টঙ্গী থানার এসআই মেহেদী, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা আতাউর রহমান বিক্রমপুরী এবং মসজিদ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যসূত্র:
1. টঙ্গী থেকে নিখোঁজ মুফতি মহিবুল্লাহকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
– https://tinyurl.com/4fwx88ws


