আফগান জিহাদের প্রসিদ্ধ আলেম ও মুজাহিদ নেতা মৌলভী আহমাদুল্লাহ নানি রহিমাহুল্লাহ’র ইন্তেকালে ইমারতে ইসলামিয়ার শোকবার্তা

0
220

আফগান জিহাদের প্রসিদ্ধ আলেম ও মুজাহিদ নেতা মৌলভী আহমাদুল্লাহ নানি (রহিমাহুল্লাহ) দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর গত ২৮ অক্টোবর ইন্তেকাল করেছেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ইমারতে ইসলামিয়া সরকার। তিনি আফগান জিহাদে বিভিন্ন কমিশনে নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করেছেন।

তার সম্মানিত পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও শোকাহত সকলের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছে ইমারতে ইসলামিয়া সরকার। বার্তায় মরহুমের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে মাগফেরাত ও সুউচ্চ জান্নাতুল ফিরদাউসের দোয়া করা হয়। এছাড়া তার শোকাহত পরিবার ও আত্মীয়দের জন্য ধৈর্য ও সওয়াব কামনা করা হয়।

মৌলভী আহমাদুল্লাহ নানি রহিমাহুল্লাহ সমগ্র জীবন জুড়ে ইসলাম ও জিহাদের খেদমতে নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন। আল্লাহর রাস্তায় তিনি অনেক বেশি কষ্ট-মুজাহাদা ও দুর্ভোগ সহ্য করেছেন। তিনি দীর্ঘ দিন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন। কারাগারে থাকাকালীন তিনি প্রচণ্ড শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করেছেন। যার ফলস্বরূপ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবশেষে তিনি মজলুম অবস্থায় মহান প্রতিপালকের দরবারে ফিরে গেছেন। মহান আল্লাহ মরহুমের যাবতীয় ত্যাগ, দ্বীনের খেদমত কবুল করুন। তার বন্দি জীবনের ক্লেশ ও অসুস্থতার কষ্টের বদৌলতে মরহুমকে উত্তম প্রতিদান নসিব করুন আমীন। ইয়া রাব্বাল আ’লামীন।

দুই দশকের জিহাদি জীবনে তিনি দাওয়াহ, হেদায়েত ও গোয়েন্দা কমিশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমেরিকার দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাই আমেরিকান সরকার তার নাম নিষিদ্ধ মুজাহিদদের তালিকায় রেখেছিল।

২০১৭ সালে পাকিস্তান সফরকালে পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থা তাকে গ্রেপ্তার করে। কারাবাসে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের ফলে তিনি মারাত্মকভাবে শারিরীক-মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েন। ইমারতে ইসলামিয়া সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে তিনি নৃশংস এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি লাভ করেন।

এর আগে পাকিস্তানের জালিম সামরিক বাহিনীর কারাগারে ইমারতে ইসলামিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা ওবায়দুল্লাহ আফতাব, ওস্তাদ ইয়াসির, মোল্লা নাজির আখুন্দসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব প্রবল নির্যাতনে মুখে শহীদ হয়েছেন।

উল্লেখ্য যে, আফগান জিহাদের সময় মার্কিন ও ন্যাটো সামরিক জোটের সাথে হাত মিলিয়েছিল পাকিস্তানের জালিম সামরিক বাহিনী। তুচ্ছ দুনিয়াবি স্বার্থে তারা মুজাহিদদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন এমনকি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দিয়েছিল। কারাগারের নির্মমতার ফলে মুক্তিপ্রাপ্ত অধিকাংশ মুজাহিদিনদের অবস্থা যেন প্রায় অর্ধমৃত হয়ে পড়েছিল।


তথ্যসূত্র:
1. https://tinyurl.com/yc5e2m7n
2. https://tinyurl.com/f4zd8apx

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে সন্ত্রাসী ইসরায়েলের হামলায় দুই দিনেই শহীদ ১০৪ ফিলিস্তিনি; বেশিরভাগই নারী ও শিশু
পরবর্তী নিবন্ধগাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার পক্ষে সাফাই গাওয়ায় নিউইয়র্ক টাইম বয়কট করলো ৩০০ আন্তর্জাতিক গবেষক ও লেখক