
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি। দেশটির জান্তার (সামরিক) নেতৃত্বাধীন সরকারের উপর মুজাহিদদের হামলার সংখ্যা এবং অবরোধের মতো চাপ বৃদ্ধির ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি এবং জার্মানি সহ ১৪টি দেশ তাদের নাগরিকদের মালি ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে।
বৈশ্বিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার সাথে সম্পর্কিত জামাআত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) মালিতে তীব্র সামরিক অপারেশন অব্যাহত রেখেছে। সম্প্রতি দলটি মালির জান্তার বিরুদ্ধে সামরিক অপারেশনের পাশাপাশি রাজধানী বামাকো সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে জ্বালানি এবং প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক, সামরিক অবস্থান এবং সামরিক কনভয়গুলিকে লক্ষ্য করে আসছেন। এসকল অভিযান এবং আক্রমণের মাধ্যমে ‘জেএনআইএম’ কার্যত রাজধানী বামাকোকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
রাজধানী মুখী জ্বালানি কনভয়গুলিতে বারবার মুজাহিদদের এসকল আক্রমণের ফলে বামাকোতে জ্বালানি ঘাটতি তীব্র আকার ধারণ করেছে, পরিবহন, বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং শহরজুড়ে জান্তার অফিসগুলোতে দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
‘জেএনআইএম’ মুজাহিদদের এই অবরোধ এবং মধ্য ও উত্তর মালির বিস্তীর্ণ এলাকার উপর নিয়ন্ত্রণ প্রশারীত করার পাশাপাশি রাজধানীর কাছাকাছি তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছেন। এতে ক্ষমতাসীন জান্তার উপর মুজাহিদদের চাপের নতুন এক পর্যায়ে শুরু হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমা দেশগুলোর পাশাপাশি এক ডজনেরও বেশি দেশ তাদের নাগরিকদের অবিলম্বে মালি ছাড়ার বিষয়ে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, জাপান, ইতালি, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল, স্পেন, লিথুয়ানিয়া, স্লোভেনিয়া, তাইওয়ান, এস্তোনিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া মতো দেশগুলো দ্রুত অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে নাগরিকদের “অবিলম্বে” মালি ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে।
দেশগুলো তাদের নাগরিকদের বামাকোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু থাকাকালীন বাণিজ্যিক বিমান ব্যবহার করে মালি ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি নাগরিকরা যদি মালিতে থাকার সিদ্ধান্ত নেয় তবে সম্ভাব্য দীর্ঘস্থায়ী কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শও দিয়েছে। কেননা বামাকো বিমানবন্দর থেকে এখনও কিছু বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালিত হলেও ইতিমধ্যে অনেকগুলো দেশের বিমান সংস্থা বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি এড়াতে তাদের পরিষেবা হ্রাস বা সাময়িকভাবে স্থগিত করার কথা বিবেচনা করছে।


