
আবারও নতজানু পররাষ্ট্র নীতির প্রমাণ দিল ডা. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। গণহত্যাকারী হাসিনা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা ভারতের মন রক্ষার্থে ডা. জাকির নায়েককে (হাফিযাহুল্লাহ) বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, জাকির নায়েক বাংলাদেশে এলে প্রচুর জনসমাগম হবে। জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে প্রচুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের প্রয়োজন হবে। জাকির নায়কের ঢাকায় আসাকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে এত সদস্য সেখানে মোতায়েনের সুযোগ নেই।
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, সবাই এখন নির্বাচনমুখী। জাতীয় নির্বাচনের পর তিনি ঢাকায় আসতে পারেন। তবে নির্বাচনের আগে নয়!
স্পার্ক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন ডা. জাকির নায়েক।
এদিকে, ডা. জাকির নায়েক বাংলাদেশে আসবে এ খবর শোনা মাত্রই তার সফর বানচাল করতে তৎপর হয়ে ওঠে নরেন্দ্র মোদির প্রশাসন। এমনকি, তিনি যদি ঢাকায় পৌঁছান, তবে অবিলম্বে তাকে আটক করে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার অদ্ভুত আহ্বানও জানায় ভারত।
গত ৩০ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানায়, ‘জাকির নায়েক একজন পলাতক আসামি এবং তিনি ভারতে ওয়ান্টেড। আমরা আশা করি, যেখানেই তিনি যান না কেন, সংশ্লিষ্ট দেশ তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং আমাদের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়গুলো বিবেচনায় নেবে।’
এ প্রেক্ষাপটে গত ২ নভেম্বর বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম জানায়, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আহ্বান বাংলাদেশ সরকারের নজরে এসেছে জানিয়ে সে বলে, ‘ভারতের মন্তব্য আমরা লক্ষ্য করেছি। আমরা মনে করি, কোনো দেশের পলাতক ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।’ তবে সে এও জানায়, বিষয়টি আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী বিবেচনা করা হবে।
প্রথমদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থানকে ভারতের প্রতি কৌশলী প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু সর্বশেষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সবাইকে অবাক করে জাকির নায়েকের বাংলাদেশে সফরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
তথ্যসূত্র:
1. জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত
– https://tinyurl.com/4ywh4e48


