
বিগত ৬ ও ৭ নভেম্বর টানা ২ দিন পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের সাথে ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন ইমারতে ইসলামিয়া সরকারের প্রতিনিধিবৃন্দ। এবারের বৈঠকে আশা ছিল পাক প্রতিনিধিবৃন্দ তাদের নেতৃস্থানীয়দের পরামর্শে দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে এবং প্রত্যাশা ছিল তারা আলোচনায় বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য দাবি উত্থাপন করবে। তবে তা হয় নি।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তান পক্ষ পাকিস্তানের নিরাপত্তা ইস্যু সংক্রান্ত সকল দায়িত্ব তারা ইমারতে ইসলামিয়া সরকারের উপর চাপানোর চেষ্টা করেছে, অপরদিকে আফগানিস্তানের নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনও ধরনের আগ্রহ বা দায়িত্বশীল আচরণ দেখায় নি। পাক প্রতিনিধিদের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অসহযোগিতামূলক মনোভাবের কারণে এবারের শান্তি আলোচনায়ও কোন সমাধান পৌঁছানো যায়নি।
ইস্তাম্বুল বৈঠকের ফলাফল প্রসঙ্গে ৮ নভেম্বর অফিসিয়াল এক্স বার্তায় তথ্যসমূহ প্রদান করেছেন ইমারতে ইসলামিয়ার সরকারের মুখপাত্র মৌলভী জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ হাফিযাহুল্লাহ।
বার্তায় তিনি আরও জানান, বৈঠকে যথোপযুক্ত সমাধানে পৌঁছতে ইমারতে ইসলামিয়া সরকারের প্রতিনিধি এবং মধ্যস্থতাকারীদের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার কোন কমতি ছিল না।
তিনি ইমারতে ইসলামিয়া সরকারের নীতিগত অবস্থান আবারও সুস্পষ্ট করেন এবং বলেন, আফগান ভূখণ্ড কোনও দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেবে না ইমারতে ইসলামিয়া। একইসাথে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং সুরক্ষার বিরুদ্ধে কার্যক্রম চালাতে কোনও দেশকে তাঁরা সুযোগ দেবে না।
বার্তায় তিনি পাকিস্তানের মুসলিম নাগরিকদের আফগান মুসলমানদের ‘ভাই’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, শান্তি বজায় রাখতে সদিচ্ছা ও প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করে যাবে ইমারতে ইসলামিয়া সরকার, সামর্থ্যের সীমার মধ্যে তাঁরা পাকিস্তানের সাথে সহযোগিতা বজায় রাখবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, আফগান ভূখণ্ড ও জনগণের নিরাপত্তা ইমারতে ইসলামিয়া সরকারের দ্বীনি ও জাতীয় দায়িত্ব। তাই যে কোন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জনগণের সমর্থন ও মহান আল্লাহর সাহায্যে তাঁরা দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করবে ইনশাআল্লাহ।
আফগান-পাকিস্তান শান্তি আলোচনার আয়োজন ও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালনের জন্য তুরস্ক ও কাতারের প্রতি উক্ত বার্তার মাধ্যমে আবারও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছে ইমারতে ইসলামিয়া সরকার।
তথ্যসূত্র:
1. https://tinyurl.com/ty48z7pw


