
ইমারতে ইসলামিয়ার শাসনের অধীনে আফগানিস্তানে মাদক চাষ, পাচার ও বিক্রয় পুরোপুরি শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুফতি আব্দুল মতিন কানি হাফিযাহুল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনে এ সফল অভিযানের কথা প্রকাশ করেছেন।
মুফতি কানি হাফিযাহুল্লাহ জানান, ইমারতে ইসলামিয়ার শাসনের পূর্বে আফগানিস্তান মাদক উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। দেশজুড়ে প্রায় ৩ লাখ একর জমিতে আফিম চাষ করা হতো। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত মাদক বিরোধী ব্যপক অভিযানের মাধ্যমে মাদক চাষ এবং বিক্রয় সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
মুফতি আব্দুল মতিন কানি হাফিযাহুল্লাহ জাতিসংঘের সাম্প্রতিক ভুয়া প্রতিবেদনের বিরোধিতা করেন। জাতিসংঘের ড্রাগ ও ক্রাইম অফিসের রিপোর্টে ২০২৪ সালের তুলনায় এ বছর আফিম চাষে ৯% বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। তিনি এটিকে ভিত্তিহীন ও সম্পূর্ণ মথ্যা বলে অভিহিত করেন।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে মাদক উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। মুফতি আব্দুল মতিন কানি হাফিযাহুল্লাহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, ইমারতে ইসলামিয়ার তত্ত্বাবধানে আফগানিস্তান মাদকমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে উঠছে এবং এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তথ্যসূত্র:
1.IEA rejects UN report on increasing poppy cultivation in Afghanistan
– https://tinyurl.com/yteca6x4


