
৬ ডিসেম্বর এক ঘোষণায় নারী অধিকার লঙ্ঘনের অজুহাতে ইমারাতে ইসলামিয়া সরকারের বিশিষ্ট ৪ জন নেতৃবৃন্দের (আল্লাহ তাদের হেফাজত করুন) উপর ভ্রমণ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া কর্তৃক এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন ইমারাতে ইসলামিয়ার সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম খাইবার হাফিযাহুল্লাহ। এই পদক্ষেপকে আফগানিস্তানের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের অবমাননা বলে তিনি অভিহিত করেছেন।
তিনি জোরালোভাবে দাবি করেন, তারা নারী অধিকারের সংজ্ঞা জানে না এবং নিজেরাই নারী অধিকার লঙ্ঘনকারী।
তিনি আরও বলেন, এই সিদ্ধান্ত নতুন কিছু নয়, এর আগেও এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অথচ অস্ট্রেলিয়া ও সদৃশ পশ্চিমা দেশগুলো নিজেরা মানবাধিকার বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছে না।
তিনি আফগানিস্তানের পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, আফগান সমাজে নারীদের অধিকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে থাকে ইমারাতে ইসলামিয়ার সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিগত ৪ বছরে অসংখ্য নারীর অধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করেছে ইমারাতে ইসলামিয়া সরকার। এর বিপরীতে পশ্চিমারা চায়, তাদের দেশের অনৈসলামিক সংস্কৃতি ও কৃষ্টি-কালচার আমাদের মুসলমান সমাজে চাপিয়ে দিতে।
উল্লেখ্য যে, নিষেধাজ্ঞা দেওয়া বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ হলেন ইমারাতে ইসলামিয়ার সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ বিষয়ক মন্ত্রী মৌলভী মুহাম্মদ খালিদ হানাফি হাফিযাহুল্লাহ, উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী মৌলভী নেদা মুহাম্মদ নাদিম হাফিযাহুল্লাহ, আইন মন্ত্রী আব্দুল হাকিম শারেয়ি হাফিযাহুল্লাহ এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আব্দুল হাকিম হাক্কানি হাফিযাহুল্লাহ।
তথ্যসূত্র:
1. https://tinyurl.com/27zkb5s9
2. https://tinyurl.com/3wvanmta


