আগামী পাঁচ বছরে সাড়ে ৫ লাখ নাগরিকের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছে ইমারাতে ইসলামিয়া

0
1

ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী হাজী নূরুদ্দিন আজিজি হাফিযাহুল্লাহ দেশের শিল্প, বাণিজ্য এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি নির্মূল করা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারগুলোর একটি এবং রাষ্ট্রের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম ধীরে ধীরে ইলেকট্রনিক ও ডিজিটাল ব্যবস্থার আওতায় আনা হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, আমীরুল মু’মীনিন হাফিযাহুল্লাহ-এর নির্দেশে উদ্যোক্তা ও শিল্পখাতের জন্য মোট ১ লাখ ৬০ হাজার জেরিব(১ জেরিব=০.৪৯৪ একর) জমি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় প্রতিটি প্রদেশে শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য ১ হাজার জেরিব করে জমি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গত তিন মাসে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৪০০-এর বেশি কোম্পানিকে জমি বিতরণ করেছে। এছাড়া ছোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য কেন্দ্রীয় এলাকাগুলোতে ১০ থেকে ৫০ জেরিব পর্যন্ত প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই ২০টি প্রদেশে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, ইমারাতে ইসলামিয়া সরকারের নির্দেশনায় প্রতিটি আফগান নাগরিকের জন্য কাজের অনুমতিপত্র (ওয়ার্ক পারমিট) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং সবাইকে একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরে ৫ লাখ ৫০ হাজার আফগান নাগরিকের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয় এবং এর বাস্তবায়ন ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার কোনোভাবেই ট্রানজিট রুট বন্ধ করতে চায় না, কারণ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের অন্যতম মূল নীতি। তবে জনগণ বা বেসরকারি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।

তিনি জানান, বিকল্প বাণিজ্য রুট বাড়াতে ইরানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়েছে এবং ভারত, চীন ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অর্থনৈতিক আস্থা সৃষ্টি হয়েছে, বাণিজ্যিক মাফিয়া নেটওয়ার্ক নির্মূল করা হয়েছে এবং দেশীয় উৎপাদনকে জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে জ্বালানি খাতে প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ চলমান রয়েছে।

চলতি বছরে প্রায় ২ হাজার বাণিজ্যিক ও শিল্প লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে হাজার হাজার নারী ও যুবক বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন।

মন্ত্রী জানান, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আফগানিস্তানের উৎপাদন এমন পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে দেশকে আর বিদেশি পণ্য ও আমদানির ওপর নির্ভর করতে না হয়।

শেষে হাজী নূরুদ্দিন আজিজি দেশবাসীর প্রতি দেশীয় পণ্য ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এর মাধ্যমেই আফগানিস্তানকে একটি শক্তিশালী ও আত্মনির্ভরশীল শিল্পোন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তর করা সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।


তথ্যসূত্র:
1.Ministry of Commerce Prioritizes Industrial Land Distribution, Private Sector, and Investment
– https://tinyurl.com/ymbtxpae

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধইমারাতে ইসলামিয়ার নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ, কোনো ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নেই