সোমালিয়ার কৌশলগত নুউর-দুগল এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন আশ-শাবাব মুজাহিদিন

0
32

আল-কায়েদা পূর্ব আফ্রিকা শাখা হিসাবে পরিচিত প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন, বৃহস্পতিবার ভোরে দলটির মুজাহিদিনরা সোমালিয়ার মধ্য শাবেলি রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

আঞ্চলিক গণমাধ্যমগুলো, সোমালিয়ার মধ্য শাবেলি রাজ্যের নুউর-দুগল শহরের স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জানিয়ে আসছিল যে, গত ১৭ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরের পর থেকেই নুর দুগল শহরের আশপাশের এলাকাগুলোতে ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত আশ-শাবাব যোদ্ধাদের উল্লেখযোগ্য চলাচল দেখা গেছে। একইভাবে বুর-দুগল এবং কালি-সালাদ এলাকার বাসিন্দারাও প্রচুর সংখ্যক আশ-শাবাব যোদ্ধার চলাফেরার কথা জানিয়েছে। আশ-শাবাব মুজাহিদদের এমন চলাফেরা বড় কোনো অভিযানের পূর্বেই দেখা যায়।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমগুলো এমন তথ্য প্রচারের পরেও মোগাদিশু বাহিনী আশ-শাবাবের অগ্রগতি পতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ১৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ভোরে, হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিনরা মধ্য শাবেলির কেন্দ্রীয় অঞ্চল থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরের নুউর-দুগল এলাকার দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেন। মুজাহিদিনরা এলাকাটি ঘিরে তীব্র আক্রমণ শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই মোগাদিশু বাহিনীর প্রতিরোধ ব্যাবস্থা ভেঙে পড়ে এবং সৈন্যরা জীবন বাঁচাতে পলায়ন করতে শুরু করে। তবে ততক্ষণে মুজাহিদদের ভারী আক্রমণে মোগাদিশু বাহিনীর অসংখ্য সৈন্য হতাহত হয় এবং প্রচুর বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি হয়।

শত্রু বাহিনীর এই পলায়নের পর, হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন পুরো নুউর-ডুগল এলাকা এবং মোগাদিশু বাহিনীর সামরিক ঘাঁটি ও অবস্থানগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হন। এসময় মুজাহিদিনরা প্রচুর সংখ্যক অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম গনিমত হিসাবে অর্জন করেছেন।

উল্লেখ্য যে, মধ্য শাবেলি রাজ্যের নুউর-ডুগল এলাকাটি রাজ্যের নাইরগোদ শহর এবং তৌফিক শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পূর্ব দিক থেকে রাজধানী মোগাদিশুর সাথে কেন্দ্রীয় অঞ্চলগুলিকে সংযুক্তকারী সড়কটিও এই এলাকার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে। এলাকাটি ভারত মহাসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে মোগাদিশু বাহিনীর জন্য একটি সহায়ক সামরিক ঘাঁটি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এছাড়াও ২০২২ সালে, যখন মোগাদিশু প্রশাসনের প্রধান (রাষ্ট্রপতি) মোহাম্মদ হাসান শেখ প্রতিরোধ বাহিনী আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে “চূড়ান্ত” যুদ্ধ ঘোষণা করে, তখন নুউর-ডুগল এলাকটি “মা’ওসালি” নামে পরিচিত মিলিশিয়াদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে।


তথ্যসূত্র:
– https://somalimemo1.com/articles/22705/DEG-DEG-Al-Shabaab-oo-saaka-dagaal-kula-wareegtay-deggaanka-Nuur-dugle-weerarro-xalay-dhacay

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআফগান–কিরগিজ বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত: কাবুলে একশ সাতান্ন মিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর
পরবর্তী নিবন্ধআল ফিরদাউস বুলেটিন || ৩য় সপ্তাহ, ডিসেম্বর ২০২৫ ||