
আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর জারি রেখে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা জুলাই বিপ্লবী শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর শপথ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তার মৃত্যুর খবরে ‘আমরা প্রত্যেকে এখন হাদি’ এই প্রত্যয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।
‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি’, ‘আমরা সবাই হাদি হবো, গুলির মুখে কথা ক’বো’, ‘ইনকিলাব ইনকিলাব জিন্দাবাদ’- এমন স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।
প্রতিটি হল থেকে আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্য এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। মিছিল ও সমাবেশে শিক্ষার্থীরা হাদির আত্মত্যাগকে জুলাই আন্দোলনের ধারাবাহিক সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন।
বিক্ষোভে অংশ নিয়ে রিয়াদুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, যুগে যুগে আবরার ফাহাদ আর ওসমান হাদিরা ফিরে আসবে। ওসমান হাদিদের হত্যা করে নিঃশেষ করা যায় না। শহীদ ওসমান হাদি যে দাবানল পুরো দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছে, তা একদিন আগ্নেয়গিরি হয়ে ফিরে আসবে।
তিনি আরও বলেন, আজ আমাদের হাদি নেই। কিন্তু এখন থেকে আমরা সবাই হাদি। আমরা প্রত্যেকে হাদির প্রতিনিধিত্ব করব।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, হাদির রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে তারা ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও অভ্যন্তরীণ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আজীবন লড়াই চালিয়ে যাবেন।
হাবিবুর রহমান নামের এম শিক্ষার্থী বলেন, আমরা যতদিন বেঁচে থাকব, আমাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এই সংগ্রাম চলবে। ভারতের আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদকে আমরা কখনোই অগ্রসর হতে দেব না।”
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, যারা হত্যার পরও সুশীলতার কথা বলে, যারা ভারতের পক্ষে অবস্থান নেয়, তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। সত্যকে হাতে রেখে রাজপথেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এই দেশকে দিল্লি বা পিন্ডির নির্দেশে নয়, ঢাকার জনগণের ইচ্ছায় চলতে হবে। এই দেশে কোনো কেন্দ্রীয় আধিপত্য, কোনো দিল্লির দাসত্ব চলবে না।
তথ্যসূত্র:
১। হাদির রক্তের শপথ: ‘আমরা প্রত্যেকে এখন হাদি’
– https://tinyurl.com/3823n7uc


