মিয়ানমারের নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে জাতিসংঘের ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি। কথিত জাতিসংঘের সংস্থাগুলো অন্যদের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বললেও নিজেদের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা মেনে চলে না বলে অভিযোগ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) টিআইবি কার্যালয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অবস্থান ও সুশাসন বিষয়ক এক গবেষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করার সময় সে এ কথা বলে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেছে, আমরা জাতিসংঘের কাছে রোহিঙ্গা বিষয়ে তাদের কর্মসূচির পরিচালনা ব্যয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। রোহিঙ্গাদের নিয়ে কর্মসূচি চালাতে তাদের পরিচালনা ব্যয় কত এসব তথ্য বহুবার চাওয়ার পর তারা আমাদের জানিয়েছে, সর্বনিম্ন ৩ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৩২ শতাংশ ব্যয় হয়েছে। এটি জাতিসংঘের নিজেদের পরিচালনা ব্যয়।
কিন্তু তারা নিজেরা কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে না। সহযোগী সংস্থাগুলো এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। সহযোগী সংস্থাগুলোর পরিচালন ব্যয় কর্মসূচির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। ফলে এখানে এ ব্যয় দুবার গণনা হচ্ছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেছে, প্রকৃতপক্ষে পরিচালন ব্যয় কতটুকু তা একমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বলতে পারবে। কিন্তু তারা এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করতে চায় না। তারা আমাদের কাছে নিজেদের স্বচ্ছতা বজায়কারী সংস্থা হিসেবে প্রকাশ করে। কিন্তু বাস্তবে আমরা এর প্রতিফলন দেখি না।
একইসঙ্গে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে কক্সবাজারের স্থানীয়রা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে টিআইবি জানায়, বর্তমানে তারা মানসিক চাপে রয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়ায় স্থানীয় জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত এবং রাজনৈতিক বিভিন্ন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
সুত্রঃ ইনসাফ২৪