ভারত জবর দখলকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকাতে গত শুক্রবার জোরালো বিক্ষোভ করেছে কাশ্মীরের মানুষ। ভারতীয় দখলদারিত্ব এবং এ অঞ্চলে আরোপিত অবরুদ্ধ অবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানানোর জন্যই এইসব বিক্ষোভ করা হয়।
কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর শ্রীনগর, বাদগাম, গান্দেরবাল, পুলওয়ামা, কুলগাম, শোপিয়ান, বান্দিপোরা, বারামুল্লা, কুপওয়ারা এবং অন্যান্য এলাকাতে মানুষজন রাস্তায় নেমে আসে। এ সময় তারা স্বাধীনতার পক্ষে এবং ভারত-বিরোধী শ্লোগান দেয়। বহু জায়গায় বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করেছে ভারতীয় সন্ত্রাসী পুলিশ ও সেনারা। এতে বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে টানা ১৮ সপ্তাহ ধরে শ্রীনগরের জামিয়া মসজিদ ও অন্যান্য প্রধান মসজিদগুলোতে কাশ্মীরীদেরকে জুমার নামাজ পড়তে দেয়নি দখলদার সন্ত্রাসী মালাউন মোদি সরকারের কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, এই অঞ্চল বিশেষ করে কাশ্মীর উপত্যকায় অবরুদ্ধ অবস্থা ১২৪তম দিনে পড়েছে এবং এখানকার পরিস্থিতি এখনও অস্বাভাবিক রয়েছে। ১৪৪ ধারার অধীনে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা, ইন্টারনেট এবং প্রি-পেইড মোবাইল সংযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন থাকায় মানুষের দুর্ভোগ শেষ হয়নি। কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট শেখ আশিক হোসেন শ্রীনগরে এক সাক্ষাতকারে বলেছেন যে, ৫ আগস্টের পর থেকে অব্যাহত অবরুদ্ধ পরিস্থিতি এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে ১৫,০০০ কোটি রুপির ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, অবরোধ আরোপ এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর প্রতিটি খাতের ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীর ইয়ুথ লিগ শ্রীনগরের দস্তগির সাহিব অভিমুখে মার্চের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ ও পোস্টারিং করেছে। তারা সোমবার শ্রীনগরের ইউএন অফিস অভিমুখে একই ধরণের মার্চের জন্য মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তারা বুধবার সম্পূর্ণ বন্ধ পালন এবং বৃহস্পতিবার জনতার কারফিউ পালনের আহ্বান জানিয়েছে।
অধিকৃত কাশ্মীরের হাই কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশানের সাবেক জেনারেল সেক্রেটারি গুলাম নবি শাহীন কেএমএসের সাথে এক সাক্ষাতকারে দাবি জানিয়েছেন যাতে বার প্রেসিডেন্ট মিয়া আব্দুল কাইয়ুম, সিনিয়র আইনজীবী নাজির আহমেদ রোঙ্গা, মোহাম্মদ আশরাফ বাট এবং হিলাল আকবর লোনসহ অবৈধভাবে আটককৃত সবাইকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া হয়।
ব্রিটেনের ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ পত্রিকার উর্দু ভার্সন ইন্ডিপেন্ডেন্ট উর্দু – যেটি ইসলামাবাদ থেকে প্রকাশিত হয়, সেখানে প্রকাশিত এক নিবন্ধে জানানো হয়েছে যে, কাশ্মীরে নারীদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে গেছে এবং যে সব ঘটনা প্রকাশিত হচ্ছে, আসল ঘটনার সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি। নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে যে, অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে দমনের জন্য ভারতীয় সন্ত্রাসী সেনারা ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। নিবন্ধে কাশ্মীরের এক সাংবাদিককে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে, ভারতীয় সন্ত্রাসী সেনারা দিনে বা রাতে যে কোন সময় যে কোন বাড়িতে ঢুকে নারীদের – বিশেষ করে তরুণীদেরকে নির্যাতন করছে।
আলহাদুলিল্লাহ ,,এই সাইডের মাধ্যমে অনেক সঠিক খবর জানতে পারছি ,, আলহামদুলিল্লাহ,,, ভাই আফগানিস্থানে এর কি খবর ভাই এবং ফিলিস্তিন এর কি অবস্থা জানালে ভালো হত,,,