দুই সপ্তাহে ৫ খুন: রাজশাহীর আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বিগ্ন নগরবাসী

0
799
দুই সপ্তাহে ৫ খুন: রাজশাহীর আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বিগ্ন নগরবাসী

একের পর এক হত্যাকাণ্ডে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে রাজশাহীর মানুষ। গত ১৭ দিনে পাঁচজন খুন হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দু’জন কলেজছাত্র, একজন সাধারণ মানুষ ও দু’জন ব্যবসায়ী। চারটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে নগরে এবং একটি গোদাগাড়ী উপজেলায়।

এদের মধ্যে চারজনকে প্রকাশ্যে ছুরি মেরে ও কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। বাকি একজনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তার চারটি গরু নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। নগরবাসী বলছেন, নগরীতে গভীর রাতে বাস-ট্রেন থেকে নেমে বাড়ি ফেরার পথে অহরহ ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন মানুষ। আওয়ামী দালাল পুলিশের রাতের টহল দায়সারাভাবে চলায় ছিনতাইকারীরা আবার নগরীতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।

১৩ নভেম্বর দুপুরে রাজশাহী রেলভবনে প্রকাশ্যে ছুরি মেরে খুন করা হয় সানোয়ার হোসেন রাসেলকে (৩০)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় রাসেলের ভাই আনোয়ার হোসেন রাজা। চিকিৎসা শেষে রাজা কিছুটা সুস্থ হলেও তিনি সন্ত্রাসীদের ভয়ে প্রকাশ্যে চলাফেরা করতে পারছেন না। নিহত রাসেলের পরিবারের অভিযোগ, কতিপয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতার আশ্রিত সন্ত্রাসী সুজন ও তার সহযোগীরা নগরীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী। রেলের কয়েক ঠিকাদারও এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পেছনে কলকাঠি নেড়েছে। এ কারণে পুলিশ সুজন ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারে তেমন চেষ্টা করছে না। সুজনের সহযোগীরা এখনও রেলভবনসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যেই ঘুরছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

রাসেল হত্যাকাণ্ডের দিনই নগরীর শাহ মখদুম থানার নতুনপাড়া এলাকায় আবদুল্লাহ আল ফাহিম (১৯) নামের এক কলেজছাত্রকে প্রকাশ্যে ছুরি মেরে খুন করা হয়। ছিনতাইয়ে ব্যর্থ হয়ে চিহ্নিত অপরাধীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে নিহত কলেজছাত্রের পরিবারের দাবি। ২১ নভেম্বর গোদাগাড়ীর কদমশহরে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে ছুরি মেরে খুন করা হয় শান্ত ইসলামকে। নিহত শান্ত দামকুড়া কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হন শান্তর ভাই স্বপন ইসলাম। এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আওয়ামী দালাল বাহিনী পুলিশ। গোদাগাড়ী থানা পুলিশ বলছে, শান্তর হত্যাকারী মাজেদুল ও তার ভাই সাজেদুল এখনও গ্রেফতার হয়নি।

বাকি টাকা চাওয়ায় নগরীর মালদা কলোনী এলাকায় ব্যবসায়ী রাজন শেখকে (২০) সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করে। এলাকাবাসীর দাবি, রাজনের হত্যাকারী সন্ত্রাসী সোহেলের বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় চাঁদাবাজির একাধিক মামলা রয়েছে। সর্বশেষ ৪ ডিসেম্বর রাতে নগরীর দাসপুকুর এলাকার একটি খামারের মালিক আবদুল মজিদকে (৫৪) শ্বাসরোধে হত্যার পর তার চারটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মামলা হলেও এখন পর্যন্ত জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি কথিত এই পুলিশ বাহিনী। রাজপাড়া থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন জানায় কারা মজিদকে হত্যা করেছে তা পুলিশ এখনও শনাক্ত করতে পারেনি।

সুত্রঃ যুগান্তর

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগেই চেয়ার ছোড়াছুড়ি
পরবর্তী নিবন্ধঅ্যান্ড্রয়েড ফোনে ত্রুটি : হ্যাকারদের লক্ষ্য ৬০টির বেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান