ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল আসাম রাজ্যে। গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ-আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা পাঁচে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যের কিছু কিছু এলাকায় এখনো চলছে মালাউনদের জারি করা ১৪৪ ধারা। বিক্ষোভে স্তব্ধ হয়ে থাকা আসামবাসীর কাছে এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাজারদর।
টাইমস অব ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গেছে, কারফিউ’র কারণে রাজ্যের অধিকাংশ এটিএম বুথ নগদ অর্থহীন অবস্থায় পড়ে আছে। সরবরাহ ঘাটতির কারণে পেট্রোল পাম্পগুলোতে তেল নেই।
শনিবার সাত ঘণ্টার জন্য কার্ফু শিথিল হতেই বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি, রুই মাছ ৪২০ টাকা কেজি। এক আঁটি পালং শাক যেখানে বিক্রি হতো ১০ টাকায়, সেটাই বিক্রি হয়েছে ৬০টাকায়, বাঁধাকপির কেজি ৮০ টাকা!এমনিতেই ভারতজুড়ে পেঁয়াজের দাম লাগামছাড়া। কিন্তু সেসব অতিক্রম করে আসামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০টাকা কেজিতে।
রাজধানী গুয়াহাটির কাচাবাজার পুরোপুরি সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। গত রোববার থেকে পণ্য নিয়ে ট্রাকগুলো আটকে আছে সীমান্তে।
পাইকাররা জানিয়েছেন, তাদের কাছে অল্পকিছু সবজি মজুদ ছিল। বাজার খোলার কয়েক ঘন্টার মধ্যে সব বিক্রি শেষ হয়ে গেছে।