বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠা ভারতে গতকাল বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে কর্ণাটক ও উত্তরপ্রদেশে তিনজন নিহত ছাড়াও অনেকে আহত হয়েছেন। এছাড়া সহস্রাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে দেশটির ‘সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যারা।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রাজধানী দিল্লিসহ উত্তর প্রদেশ কর্ণাটকের বেশ কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে বিক্ষোভ-সমাবেশ ও মানুষের জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও বিক্ষোভ চলছে। কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরু শহরে বিক্ষোভে পুলিশের গুলি চালালে দুজন এবং উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌতে একজনের মৃত্যু হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ম্যাঙ্গালুরুতে চার পুলিশ সদস্য বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে পুলিশের গুলিতে আহতদের দুজন হাসপাতালে মারা যান। গতকাল ওই দুই শহরে অনেক বিক্ষোভকারীর সঙ্গে বেশ কিছু পুলিশ কর্মীও আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভারতজুড়ে বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন। সকাল থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত অনেক স্থানে বিক্ষোভ চলে। যদিও দেশটির মালাউন পুলিশ বিভিন্ন স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছিল, যাতে করে ৪ জন মানুষের বেশি একসঙ্গে জমায়েত নিষিদ্ধ তবে মানুষ সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পথে নামে।
কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরে গত বুধবার ১৪৪ ধারা জারি করা হয় ছাড়াও সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
এদিকে সকাল থেকেই উত্তরপ্রদেশ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। ভারতের সবচেয়ে বড় এই রাজ্যটির রাজধানী লক্ষ্ণৌতে গতকাল পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের গুলিতে একজন নিহত ছাড়াও আরও অনেকে আহত হন। তারপর শহর থেকে ১১২ জনকে আটক করা হয়।
ভারতে নাগরিকত্ব আইন সংসদে উত্থাপনের পর থেকেই এর বিরুদ্ধে প্রথমে দেশটির উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলোতে বিক্ষোভ শুরু হয়। ক্রমেই গোটা দেশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির আটটি রাজ্যের ১৩টি শহরের মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন।