খেজুর অতি পরিচিত একটি ফল। প্রতিদিন সকালে যদি নিয়ম করে খেজুর খেতে পারেন তাহলে অ্যানিমিয়া ও ওজন কমবে। বাড়বে মগজাস্ত্রের ধার। শরীর হবে তরতাজা- এর মধ্যে থাকা ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলসের গুণে।
খেজুর এমন একটি ফল, যা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডায়াবেটিসের রোগীরাও খেতে পারেন।
কেন রোজ খেজুর খাবেন? কী কী উপরকারিতা আছে খেজুরের? খেজুরের থেকে কত রকমের ভিটামিন, খনিজ পাবেন? জেনে নিন—
১. অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা প্রায় প্রতিটি মেয়ের শরীরে। তাই নিয়মিত খেজুর খেলে এর মধ্যে থাকা আয়রন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে রক্তাস্বল্পতা কমাবে।
রক্তে বাড়াবে অক্সিজেনের ঘাটতি। এতে শরীর তরতাজা থাকবে সারাক্ষণ।
২. সকালে নিয়মিত খেজুর খেলে সারাদিন এনার্জিটিক থাকবেন ক্লান্তি ভুলে।
৩. খেজুর মানেই প্রচুর পটাশিয়াম। যারা উচ্চরক্তচাপে ভোগেন তাদের মহৌষধ এটি।
৪. খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। ফলে, হার্ট বা ধমনি ব্লকেজ হওয়ার সম্ভাবনাও কমে অনেকটাই।
৫. প্রতিদিন খেজুর মানেই মজবুত হাড়। এক মধ্যে থাকা ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস হাড় শক্ত রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও আছে ভিটামিন কে, যা হাড়ের ক্ষয়রোধে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
৬. ওজন কমাতে চান? খেজুর খেয়ে জিমে যান। এক মাসের মধ্যে হাতেনাতে ফল পাবেন।
৭. যারা অ্যানিমিয়ার কারণে অনিয়মিত ঋতুস্রাবে ভোগেন, তারা রোজ খান এই ফল। কারণ, খেজুর মানেই একরাশ আয়রন, যা অ্যানিমিয়া কমিয়ে, রক্তের পরিমাণ বাড়িয়ে নিয়মিত করে ঋতুস্রাব।
৯. মগজাস্ত্রে শান দিতে নিয়মিত খেজুর খান। পারকিনসন, অ্যালজাইমার্স, ডিমেশনিয়া কমিয়ে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এই ফল।
১০. ভিটামিন সি-এ সমৃদ্ধ বলেই রোজ সকালে খালিপেটে খেজুর খেলে ত্বক কথা বলবে। কারণ, ভিটামিন সি কোলাজেনের মাত্রা বাড়িয়ে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে।
সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন