পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজ (পিইউসিএল), অল ইন্ডিয়া পিপলস ফোরাম (এআইপিএফ) ও ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন্স (এনসিএইচআরও)-এর প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত একটি তথ্য অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ১৯ ডিসেম্বর ব্যাঙ্গালোরুতে সিএএ ও এনআরসি-বিরোধী প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের হামলা ছিলো পূর্ব-পরিকল্পিত। ওই হামলায় দুই জন নিহত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ বেছে বেছে মুসলমানদের উপর হামলা চালায় এবং মুসলমানদের দোকানপাট ও মসজিদকে টার্গেট করে। এই ঘটনার একদিন আগ থেকেই পুলিশ ঘটনাস্থলে বালুভর্তি বস্তা ও রায়ট গিয়ার প্রস্তুত রাখে এবং কাছাকাছি বিভিন্ন এলাকা থেকে কেএসআরপি বাহিনী এনে মোতায়েন করা হয়। এতে বুঝা যায় যে বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশের হামলা ছিলো পূর্বপরিকল্পিত। তাছাড়া বিক্ষোভাকারী সংখ্যা ৬০০০-৭০০০ বলে পুলিশ দাবি করলেও তা মিথ্যা। তাদের সংখ্যা ছিলো ২০০ থেকে ৩০০ জন।
তথ্য অনুসন্ধানকারী টিম বহুল প্রচারিত ৬০ থেকে ৭০টি ভিডিও পর্যালোচনা করে। তারা বলে যে সেখানে প্রাথমিকভাবে জড় হওয়া তরুণের সংখ্যা ১৫০ জনের বেশি হবে না। তারা শুধু স্লোগান দিচ্ছিল। কিন্তু পুলিশ তাদের উপরেই হামলা করে এবং তাদের উপর ব্যাপক শক্তি প্রয়োগ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয় যে, পুলিশ আশেপাশের দোকানপাটেও হামলা চালায় এবং সেখান থেকে লোকজন ধরে এনে নির্দিষ্টভাবে শুধু মুসলমানদেরই মারধর করে। বিকেল চারটার দিকে ইব্রাহিম খলিল মসজিদে হামলা করে পুলিশ। সেখানে ৮০ জনের মতো মুসল্লি নামাজ পড়ছিলো।
রিপোর্টে আরো বলা হয়, মুসলিম গণ্যমান্য লোকজনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এলেও পুলিশের হামলায় আশরাফ নামে এক নেতার মাথা ফেটে যাওয়ার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।