করোনা’র তথ্য কি সরকার গোপন করছে?
পত্রিকায় দেখলাম গত দু’দিন ধরে বাংলাদেশে করোনায় কেউ মারা যায়নি। খুব ভালো সংবাদ বৈ কি। কিন্তু সরকারি হিসাবটা পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছিল না। মিথ্যা তথ্যের ধারকদের কাছ থেকে মনকে শান্তনা দেয়া ছাড়া আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষের আর কি বা করার থাকে। হুট করে সার্চ দিলাম পণ্ডিত গুগলকে। অতি সতর্কতা অবলম্বনকারীদের দলে ভীড় না দিলেও সুন্নাহর অনুসরণ করতে গিয়ে যাচাই করার প্রয়োজনটা মনের মধ্যে চেপে বসলো।
যাইহোক, সার্চ দিতেই যা আসলো সেগুলো পূর্বের মতোই অন্যায়ভাবে চেপে বসা প্রতারক শাসকদের তথ্যের সাথে একেবারেই মিললো না। ‘করোনা সন্দেহে ফেলে গেল বাসস্ট্যান্ডে, দেখেও কাছে ঘেঁষলেন না কেউ/সাড়ে ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে বরিশালে করোনা ইউনিটে ২ জনের মৃত্যু/মানিকগঞ্জে করোনার উপসর্গ নিয়ে নারীর মৃত্যু, লকডাউনে পরিবার/যশোরে আইসোলেশন ওয়ার্ডে শিশুর মৃত্যু/কুষ্টিয়ায় শ্বাসকষ্ট, সর্দি-জ্বর ও গলাব্যথা নিয়ে একজনের মৃত্যু/শেরপুরে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু, আশপাশের বাড়ি লকডাউন’ এরকম আরও কিছু নিউজ চোখে পড়লো বেশ।
আসলে কেউ করোনাতে মারা গেল কিনা কিভাবে বুঝবো? টেস্ট করলে তো, তাই না? কিন্তু টেস্টই যদি না করা হয় তবে মানুষ কীভাবে বুঝবে করোনাতে মারা গেল কি না!? স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, আমাদের দেশে মাত্র ৭ টা জায়গাতেই করোনার টেস্ট করা হয়। তবে ভাগ্যের ব্যাপার এই যে, একমাত্র একটা প্রতিষ্ঠানই করোনার আপডেট বর্ণনা করছে। আর বাকিগুলো অদৃশ্য করোনার মতোই লুকিয়ে আছে।
যাইহোক, আওয়ামী সরকার করোনাকে সম্ভবত ৫ই মে’র হেফাজতে ইসলামের হত্যাকাণ্ডের মতো মনে করছে। সময় চলে গেলে লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে আর কুটকৌশল দিয়ে সবকিছু ম্যানেজ করে নিবে। কিন্তু এটা তো করোনা। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার এই সেনা যে কাউকেই ছাড় দেয় না সেটা মনে হয় আওয়ামী সরকার বুঝতে পারছে না। খবরে পড়লাম যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও করোনায় আক্রান্ত। এতেই যুক্তরাজ্যের টনক নড়ে গেছে। বলা যায় না এই অদৃশ্য সেনা কোথায় কোথায় আঘাত হানে।
আমি ছোট মানুষ। তাই গদিতে বসা লোকদের খবর মনকে তেমন নাড়া দিল না। চিন্তা করছিলাম আমার আশেপাশের কথা। আজ বিকালে একটু প্রয়োজনে দোকানে যাওয়া। লোকজন কোন নিরাপত্তা ছাড়াই খোশগল্পে মত্ত। কেনাকাটা করে বাসায় ফিরে এলাম। ভাবছিলাম এ লোকগুলোর কথা। সরকারি মিথ্যা তথ্যের প্রভাব কি এই লোকগুলোর উপর পড়েনি? আল্লাহ না করুক যদি সুন্নাহকে পাশ কাটানোর কারণে বা তাকদিরের লিখনে এ লোকগুলো যদি নিজেরা আক্রান্ত হয় বা অন্য কাউকে আক্রান্ত করে তবে এ দায়ভার কি মিথ্যা সংবাদ প্রচারকারী এই সরকারের উপর পড়বে না?