বাংলাদেশে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সোয়া ৪ কোটি মানুষ!

0
844
বাংলাদেশে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সোয়া ৪ কোটি মানুষ!

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর অনেক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা মিলছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে৷

এদিকে, সম্প্রতি চিকিৎসা সেবা না মেলায় প্রাণ হারিয়েছেন একজন স্কুল শিক্ষিকা৷ তিনি কিডনি, ফুসফুসে পানি জমা, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন৷ ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি নিয়মিত চিকিৎসা নিতেন৷ কিন্তু গত বুধবার তার ভর্তি নেয়নি সেই হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ এরপর আরো কয়েকটি হাসপাতালে চেষ্টা করেও তার স্বজনরা চিকিৎসা পেতে ব্যর্থ হন৷ সেদিন রাত ১০টার দিকে মগবাজারের রাশমনো হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মারা যান তিনি৷ তার মেয়ে মাসুদা পারভীন চম্পা দাবি করেছেন, তার মায়ের করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনো লক্ষণ ছিল না৷ তারপরও আতঙ্কের কারণেই হাসপাতালগুলো চিকিৎসা দেয়নি৷

অধ্যাপক মোস্তফা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে পাঁচ থেকে ছয় লাখ ক্যান্সারের রোগী রয়েছেন৷ প্রতি বছর ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার মানুষ ক্যান্সারে মারা যান৷ তার মতে, ক্যান্সার প্রতিদিনই ছড়াতে থাকে, যার চিকিৎসা না হলে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে৷

কিডনি ফাউন্ডেশনের হিসেবে বাংলাদেশে প্রায় আড়াই কোটি থেকে তিন কোটি মানুষ কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত৷ প্রতি বছর ৪০ হাজার রোগীর কিডনি অকার্যকর হয়, প্রায় ৩০ হাজার মানুষ মারা যান বছরে৷ ডায়বেটিসে আক্রান্তদের মধ্যে ১১ ভাগ মানুষ কিডনি সমস্যায় ভুগছেন৷ দেশে উচ্চ রক্তচাপের রোগী আছেন তিন কোটি৷ এসব রোগীদেরও কিডনি সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভবনা বেশি৷

ইন্টারন্যাশনাল ডায়বেটিসে ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ৮৪ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত৷ তবে দেশের ডায়বেটিক সমিতির জরিপ অনুযায়ী এই সংখ্যা দ্বিগুণ৷ তাদের হিসেবে শতকরা ৮ ভাগ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত৷ সেই হিসেবে ১৬ কোটি মানুষের দেশে সংখ্যাটি দাঁড়ায় এক কোটি ২৮ লাখে৷

অধ্যাপক মোস্তফা বলেন, কিডনি, ক্যান্সার বা ডায়বেটিসে আক্রান্তদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে৷ এ কারণে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে এ ধরনের রোগীদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি থাকে৷ তারা নিয়মিত চিকিৎসা না পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি৷ বলেন, প্রতি বছর এই সময়ে অনেকের জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা হয়৷ ক্যান্সার, ডায়াবেটিস বা কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদেরও জ্বর, সর্দি, কাশি হতে পারে৷ তাই বলে তাকে সেবা না দেওয়া অমানবিক৷

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালগুলোর এই ধরনের আচরণ খুবই অন্যায়৷

সূত্র: ডয়চে ভেলে

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধচিকিৎসার পরিবর্তে তাবলিগের লোকদের গুলি করে মারা উচিত : মালাউন রাজ ঠাকরে
পরবর্তী নিবন্ধঝুঁকি শুধু গার্মেন্টসকর্মীরা নেবে কেন? ওরা কি করোনাজয়ী?