করোনার তাণ্ডবে নাজেহাল গোটা দেশ। রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১০০ জনের কাছাকাছি আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে। দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। তবুও এসমস্ত মালাউনদের যেন হুঁশ ফিরছে না। কতটা কঠিন পরিস্থির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব, সেই সম্পর্কে তাঁদের যেন কোনও ধারণাই নেই। এমন উদ্বেজনক পরিস্থিতির মধ্যেও জন্মদিন পালন করলো কর্ণাটকের বিজেপি বিধায়ক মালাউন এম জয়রাম। বারবার বলা হচ্ছে, এ ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা। কিন্তু এই কাণ্ডজ্ঞানহীন বিজেপি নেতা সেসবে কান দেননি। অথচ, মালাউনরাই তাবলীগের জমায়েতকে ভারতে করোনা ছড়িয়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে আখ্যায়িত করে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। আর ভারতীয় মালাউন প্রশাসনও তাঁদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জি টুয়েন্টিফোর ঘণ্টা সূত্রে জানা গেছে, ১০০ জন নিমন্ত্রিত ছিলেন বিধায়কের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। শুক্রবার কর্ণাটকের তুমাকুরু জেলার তুরুভেকেরের বিধায়ক নিজের জন্মদিনে ছোট থেকে বড় সকলকে পাশে নিয়ে কেক কাটেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনও বালাই ছিল না সেখানে। বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর মাঝে কোনওরকম সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই ঘটা করে পালন করলেন নিজের জন্মদিন। এমনকী জন্মদিনে আসা অতিথিদের বিরিয়ানিও খাওয়ানো হয়েছে। তাও আবার আর পাঁচটা দিনের মতোই সবাইকে পাশাপাশি বসিয়ে। অবশ্য লকডাউনের সময় এই ধরনের কাজ কর্ণাটকে প্রথম নয়। গত মাসেই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এর পর আরও একটি ঘটনায় দেখা গিয়েছিল, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে প্রায় শতাধিক কংগ্রেস কর্মী সভাপতি ডিকে শিবকুমারকে সংবর্ধনা জানান।
কর্ণাটকে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০০ জন। নতুন করে দশজনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে একটি আট বছরের ছেলে ও ১১ বছর বয়সী মেয়েও রয়েছে। ছজন আক্রান্ত ইতিমধ্যে মারা গিয়েছেন কর্ণাটকে। কিন্তু প্রশাসনের টনক নড়ছে না।