দেশে লকডাউনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টেস্টই করা হচ্ছে না!

3
1180
দেশে লকডাউনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টেস্টই করা হচ্ছে না!

করোনাভাইরাস এদেশে প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই প্রতিদিন অসংখ্যবার আমরা ‘লকডাউন’ ‘লকডাউন’ শব্দটা শুনছি। কার্যত: পুরো বিশ্বই এখন এক ধরনের লকডাউনের মধ্যে আছে। কিন্তু এই লকডাউনই কি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের একমাত্র উপায়? লকডাউন কি কোনো একটি জনপদ বা দেশকে করোনা থেকে সমাধান দিতে পারে? সুন্নাহ অনুযায়ী শুধু লকডাউনই কি যথেষ্ট?

ড. ব্রুস আইল্ওয়ার্ডের এ ব্যাপারে ভিন্ন বক্তব্য আছে। তিনি মনে করেন, লকডাউন করোনা ভাইরাসের বিস্তারের গতি কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বটে, তবে এটি করোনা ভাইরাসকে থামাতে পারে না।

তা হলে করণীয় কি? সে কথাও তিনি বলেছেন। সেদিকে যাবার আগে ড. ব্রুস আইল্ওয়ার্ডের পরিচয়টা দিয়ে নেই। কানাডিয়ান এই বিশেষজ্ঞর পরিচয় হল তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের উপদেষ্টা।
স্পেনে করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে সেখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে জেনেভায় ফিরেছেন ড. ব্রুস আইল্ওয়ার্ড।

জেনেভায় ফিরে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন সবাইকে। ড. ব্রুস আইল্ওয়ার্ড বলছেন, লকডাউনটাকে আসলে কোনো দেশ বা সরকারের জন্য ক্রমান্বয়ে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে পরিবেশ সহজ করে দেয়ার প্রস্তুতির একটা সুযোগ হিসেবে দেখা ভালো।

তাহলে করোনাভাইরাসের মোকাবেলায় সরকারের করণীয় কি? এই ব্যাপারে তার প্রেসক্রিপশন স্পষ্ট এবং খোলামেলো। তিনি বলছেন, প্রথম এবং প্রধান কাজ হচ্ছে যতো বেশি সম্ভব টেস্ট করা, আক্রান্ত ব্যক্তিদের আলাদা করে ফেলা, তাদের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন তাদের চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টিনে রাখা।

তাঁর এই প্রেসক্রিপশন না মানার বিপদ সম্পর্কেও তিনি সতর্ক করে দেন- কোনো বিষ্ফোরক যেমন মুহূর্তেই বিশাল ভবনকে ধসিয়ে দিতে পারে, এই ভাইরা্সও মাত্র একদিনেই একটা দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে কাবু করে ফেলতে পারে। তিনি বলেন, প্রতিটা দেশেরই একটা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার নির্দিষ্ট ক্যাপাসিটি থাকে। হঠাৎ করে অগুনতি রোগী এসে হাসপাতালে ভীড় জমালে কোনো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই তার যত্ন নিতে পারে না। এই বিষয়টাই সরকারের নীতিনির্ধারকদের আগাম ভাবনায় রাখা দরকার।

ড. ব্রুস আইল্ওয়ার্ড বলেন, করোনায় আক্রান্ত একজন রোগীকে ইনটেনসিভ কেয়ারে নেয়া হলে তাকে সেখানে অন্তত তিন সপ্তাহ রাখতে হয়। সুস্থ হবার পর আরো বেশ সময় ধরে তাকে ফলোআপে রাখতে হয়। ইনটেনসিভ কেয়ারের সুবিধাদি বিশেষ করে ভেন্টিলেটর, বিছানাপত্র ও অন্যান্য উপকরণের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত না থাকলে তখনি বিপর্যয় দেখা দেয়। রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকদের এগুলো আগাম ভাবনায় রাখতে হয়।

সূত্র: বিডি প্রতিদিন/ লেখক: প্রকাশক ও সম্পাদক, নতুন দেশ ডটকম

3 মন্তব্যসমূহ

  1. কিছুদিন আগে একজন বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, রি মহামারীতে যারা বেচে যাবে তাদের জন্য বেচে যাওয়াটা একটা বোনাস। আর এই মূহুর্তে এমনটিই মনে হচ্ছে। প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা, আল্লাহর কাছে মুসলিমদের জন্য দুয়া করার অনুরোধ করছি।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধমালি | মুজাহিদদের হামলায় ৩০ সৈন্য নিহত, ৫টি সামরিকযান গনিমত, (JNIM)
পরবর্তী নিবন্ধলকডাউনেও বিজেপি নেতার জন্মদিন পালন, জমায়েত করে খাওয়ানো হল বিরিয়ানি!