ভারতীয় মালাউন বাহিনী কাশ্মিরের তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে “দেশবিরোধী” কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার মিথ্যা অভিযোগ তোলে আটক করেছে। এই বিষয়ে সচেতন সমালোচকগণ মনে করেন, হিন্দুত্ববাদী অথর্ব কর্তৃপক্ষ নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে করোনাভাইরাস মহামারী চলাকালীন সময়ে মিডিয়াকর্মীদের ভয় দেখাতে ও অত্যাচার করতে শুরু করেছে।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্যা এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সূত্রে জানা যায়, ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার মাসরাত জাহরাকে গত সোমবার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযুক্ত দেখিয়ে আটক করা হয়েছে এবং মঙ্গলবার মালাউন পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
একটি পুলিশ বিবৃতিতে তাঁর ব্যাপারে মিথ্যে অভিযোগ এনে বলা হয়েছে যে, তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলো “জনসাধারণকে
আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে প্ররোচিত করতে পারে” এবং তার বিরুদ্ধে “প্রায়শই অপরাধবিরোধী উদ্দেশ্য নিয়ে দেশবিরোধী পোস্ট আপলোড করার অভিযোগ তোলে।”
সোমবার কাশ্মীর ভিত্তিক সাংবাদিক দ্য হিন্দু সংবাদপত্রের পীরজাদা আশিককে “ভুয়া সংবাদ” এবং “ভুল তথ্য” ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল।
পুলিশের দাবি তিনি মিথ্যা বলেছেন যে, ভারত দখলকৃত কাশ্মীরে প্রতিবেশী হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় ও জম্মুতে ভাইরাস টেস্টের কিটগুলি সরানোর পর সেখানে করোনভাইরাস পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার গওহর গিলানির বিরুদ্ধে পুলিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে “ইসলামিক যোদ্ধাদের প্রশংসা” করার মিথ্যা অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার গভীর রাতে তাকে আটক করে।
এছাড়াও নয়াদিল্লির মালাউন পুলিশ বাহিনী এ সপ্তাহে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ব্যবহার করে বেশ কয়েকজন মুসলিম ছাত্র-কর্মীকে এই বছরের শুরুর দিকে দাঙ্গার পরিকল্পনার মিথ্যা অভিযোগ আনে।
সাংবাদিক জাহরা, বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, তিনি কেবল প্রকাশিত কাজটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন এবং তার কোনও রাজনৈতিক এজেন্ডা ছিল না।
এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া বলেছে যে জহরা ও আশিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা অর্থাৎ “সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসবাদের আইন প্রয়োগ করার অর্থ “ক্ষমতার অপব্যবহার”।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অবিনাশ কুমার এক বিবৃতিতে বলেছেন, “কট্টর আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের হয়রানি ও ভয় দেখানো অব্যাহত থাকলে তা কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলার প্রয়াসকে হুমকির সম্মুখীন করবে।”