গতকাল ২২ এপ্রিল মিডলইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে জানায় যে, ফিলিস্তিনের অধীনস্ত পশ্চিম তীরকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাথে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সদ্য গঠিত হওয়া ইহুদিবাদী ইসরাইলের নতুন জোট সরকার।
ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী ইসরাইলের এমন সিদ্ধান্তকে ইসরাইলের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং এতে ইসরাইলের অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব সন্ত্রাসী আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
বুধবার (২২ এপ্রিল) ইহুদিবাদী ইসরাইলের এমন সিদ্ধান্ত ও আমেরিকার সম্মতির নিন্দা জানিয়েছে বিবৃতি দিয়েছেন ফিলিস্তিনের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা নাবিল আবু রুবাইনাহ।
আবু রুবাইনাহ বলেন, আমেরিকার কোন অধিকার নেই ফিলিস্তিনের ভূমি ইহুদিবাদী ইসরাইলের কাছে তুলে দিবে। ফিলিস্তিনিরাই তাদের ভূমির ভাগ্য নির্ধারণ করবে। জেরুজালেমকে রাজধানী হিসেবে মেনেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রসর হবে।
আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, পশ্চিম তীরকে নিজেদের সাথে যুক্ত করাটা ইসরাইলের সিদ্ধান্ত। আমরা তাদের সাথে কাজ করছি। তবে আমরা সুক্ষ্মভাবে অগ্রসর হবো।
উল্লেখ্য, ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জেমস বেলফোর এক চিঠির মাধ্যমে ইহুদিদেরকে ফিলিস্তিনের ভূমিতে নিজস্ব ইহুদিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন। যা ঐতিহাসিক বেলফোর ঘোষণা নামে প্রসিদ্ধ।
১৯২১ সালে ইহুদিরা ‘হাগানাহ’ নামে একটি সামরিক বাহিনী গঠন করে। যারা পরবর্তীতে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড দখলে ও ইহুদিবাদী ইসরাইল রাষ্ট্র গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইহুদিরা দলে দলে ফিলিস্তিনে আসতে শুরু করে এবং ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনিদের অধিকাংশ ভূমি জোর দখল করে জাতিসংঘের সহায়তায় ইসরাইল রাষ্ট্র গঠন করে।
১৯৭৩ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর জেরুজালেমকেও নিজেদের বলে দাবী করে ইহুদিবাদী ইসরাইল। ১৯৯২ সালে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বিল ক্লিনটন। অবশেষে ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন জেরুজালেমকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
বর্তমানে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড হিসেবে গাজা ও পশ্চিম তীরকে চিহ্নিত করা হয়। যদিও ইহুদিবাদী ইসরাইলের আধিপত্য পুরো ফিলিস্তিন জুড়েই। তবে পশ্চিম তীরকে নিজেদের দখলে নিলে আদতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বলে আর কিছুই বাকি থাকবেনা।