আমিরুল মু’মিনিন শাইখ হিবাতুল্লাহ আখুন্দ যাদাহ হাফিজাহুল্লাহ
“ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা বার্তা”
প্রিয় আফগান জনসাধারণ, মুজাহিদিন, শহীদদের পরিবার, অসুস্থ, কারাবন্দী ও পুরো মুসলিম উম্মাহর প্রতি!
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
প্রথমেই আমি আপনাদের পবিত্র ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি তিনি যেন আপনাদের ত্যাগ, জিহাদ, হিজরত ও ইসলামের জন্য সংগ্রামকে কবুল করেন। আরও দোয়া করি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যেন শহীদদের শাহাদাত কবুল করেন, কারাবন্দীদের মুক্ত করেন, দুঃখ কষ্টে থাকা পরিবারগুলোর কষ্টগুলোকে আনন্দ দ্বারা পরিবর্তন করে দেন এবং এতিমদের দেখাশুনার জন্য উত্তম ব্যবস্থা করেন। আমিন, ইয়া রাব্বাল আলামিন।
আমার প্রিয় মুজাহিদিন ভাইয়েরা!
আপনাদের স্বদেশবাসীর নিরাপত্তার কথা সবসময় স্মরণ রাখুন। তাদের জীবন, সম্পদ ও সম্মান রক্ষা করার ব্যাপারে আপনাদের ফরজ দায়িত্বের কথা সর্বদা বিবেচনা করুন। নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দিন। নাগরিক সমস্যা সমাধানের জন্য ইসলামিক আদালত ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের সহায়তা নিন। প্রধান প্রধান সড়ক ও হাইওয়েগুলোর নিরাপত্তার উপর বিশেষ মনোযোগ দিন। মালামাল পরিবহনে ব্যবসায়ীদের দিকে সাহায্যের হাত প্রসারিত করুন এবং তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করুন।
ইনশা আল্লাহ আমরা আল্লাহর সহায়তায় ও আপনাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি। এটা আল্লাহর জন্য মোটেও কঠিন নয়। এজন্যে আপনাদের আরও শক্তিশালী হতে হবে ও সৈনিকদের আরও সংগঠিত করতে হবে। অভ্যন্তরীণ বন্ধন ও সংযোগ আরও জোরদার করতে হবে। কারণ সফলতা আসে ঐক্য ও সংহতির মাধ্যমেই। তাকওয়া (আল্লাহকে ভয় করা) ও আল্লাহর আনুগত্যের উপর বিশেষ মনোযোগ দিন। আল্লাহর প্রতি শোকর গোজারে আরও মনযোগী হোন। আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন, যাতে আল্লাহ আমাদেরকে সফলতার পরিবর্তে পরাজয় আস্বাদন না করান।
আমার প্রিয় আফগানী মুজাহিদিন জাতি!
আমাদের জিহাদের মূল লক্ষ্য হলো– আমেরিকান ও তাদের দোসরদের দখলদারিত্বের অবসান ঘটানো এবং একটি সঠিক ইসলামিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। এই লক্ষ্যেই আমাদের জিহাদ শুরু হয়েছিল এবং এখনও চলমান আছে। আমরা আমাদের মুজাহিদিন ও নিপীড়িত জাতিকে আশ্বস্ত করছি যে, আমাদের দ্বারা আপনারা প্রতারিত হবেন না ইনশা আল্লাহ।
আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হলো, আমরা একচেটিয়া একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই না। কারণ সকল আফগান উপজাতি ও গোত্রসমূহ একে অন্যের পরিপূরক। আফগানে একটি ইসলামিক সরকার ব্যবস্থার সার্থকতা, সার্বভৌমত্ব ও ক্ষমতা—আফগানের বিভিন্ন জাতিসমূহের একতার উপর নির্ভর করে। ইসলাম আমাদেরকে ইসলামি ভ্রাতৃত্ব, সততা এবং যোগ্যতাসম্পন্নদের উপর কাজের দায়িত্ব অর্পণের নির্দেশ দেয়। এরপর দায়িত্বশীলদের প্রতি আনুগত্যশীল হওয়ার আদেশ দিয়েছে। সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তিরই জীবনের সকল সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। সেইসাথে যোগ্যতা ও তাকওয়ার ভিত্তিতে যথোপযুক্ত রাজনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা পাওয়ার অধিকারও ইসলাম দিয়েছে।
আফগানিস্তান সকল আফগানীদের ভূমি। তাই প্রত্যেক আফগানীর উপর দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো—এই ভূমির উন্নয়ন করা, এর ধর্মীয় ও জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ করা এবং আফগানের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত রক্ষা করা।
আমাদের চলমান যুদ্ধ উপরের লক্ষ্যগুলো অর্জনের একটি উপায় মাত্র। যদি এই লক্ষ্যগুলো আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে অর্জিত হয় তাহলে আমরা এই প্রক্রিয়াকে পুরোপুরি সমর্থন করবো। আমরা আন্তরিক ও বিষয়ভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজাকে সমস্যা সমাধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক উপায় হিসেবে বিবেচনা করে থাকি।
আমরা কারো বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা পোষণ করি না। কিন্তু আমাদের স্বদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং একটি সঠিক ইসলামিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা প্রয়োজনে সশস্ত্র আন্দোলনের জন্য সদা প্রস্তুত। আমরা আমাদের উপরোক্ত চাওয়া বাস্তবায়িত হবার পর সকলের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসে আগ্রহী।
আন্তঃআফগান সংলাপ:
আন্তঃআফগান সংলাপ শুরু করার জন্য ইসলামিক ইমারত আফগানিস্তান তাদের পক্ষ থেকে আমেরিকার সাথে করা ‘দোহা চুক্তি’র সকল শর্তগুলো পূরণ করেছে। অন্যপক্ষ (আমেরিকানরা) এই সুযোগটি কীভাবে কাজে লাগায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
‘কারাবন্দী বিনিময়’টি কষ্টে জর্জরিত হাজার হাজার পরিবারের কষ্ট মুছে আনন্দ ফিরে পাওয়ার এবং এই চুক্তিতে আস্থা রাখার অন্যতম উপায় ছিল। তাই এই বন্দীমুক্তির প্রক্রিয়াটিও বিলম্ব করা অন্য পক্ষের (আমেরিকান পক্ষ) উচিত হয়নি। যেহেতু আমরা আফগানে শান্তি স্থাপনের দিকে হাঁটছি, তাই বন্দীমুক্তি প্রক্রিয়া এই শান্তি স্থাপনের ক্ষেত্রে একে অন্যের উপর বিশ্বাস স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এবং আমাদের শান্তি স্থাপনের রাস্তাকে সংক্ষিপ্ত করে সমাপ্তির দিকে দ্রুত নিয়ে যেতে পারে।
দেশীয় দলগুলোর উচিত হবে তাৎক্ষনিকভাবে আন্তঃআফগান সংলাপের সকল বাধাসমূহ দূর করা এবং নিজেদের ছোট স্বার্থের চেয়ে আফগানের বৃহত্তর স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া। যাতে করে আফগানীরা সম্মিতিলিতভাবে সকল অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সম্ভাব্য যুদ্ধ ও দ্বন্দ্বের উৎস উপড়ে ফেলতে পারে। সেইসাথে আফগানে শান্তি ফিরিয়ে আনা এবং একটি ভবিষ্যৎ ইসলামিক সরকার গঠনে নিজেদের মাঝে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্যও এটা জরুরী।
বিদেশী সামরিক বাহিনী:
এটা একটি ভাল অগ্রগতি যে, আমেরিকা ও তার মিত্ররা ‘দোহা চুক্তি’ অনুসারে তাদের সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের কাজ শুরু করেছে। তারা ইতিমধ্যে পাঁচটি ঘাঁটি খালি করেছে এবং তাদের অবশিষ্ট সামরিক বাহিনী ও অ-কূটনৈতিক ব্যক্তিদের প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নেয়ার মাধ্যমে তাদের শর্তগুলো বাস্তবায়ন করা শুরু করেছে।
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান আমেরিকার সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তির ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মার্কিন সরকার ও তার মিত্র জোটের সকল নাগরিক ও সামরিক সংস্থাকেও এই চুক্তিকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে। তাদের জন্য আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ যুদ্ধের পরিসমাপ্তির ক্ষেত্রে নিরর্থক মন্তব্য ও প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে বাধা সৃষ্টি করা কখনোই উচিত হবে না।
ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা অবশ্যই বিগত ১৯ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এরূপ একটি তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ার বাস্তবায়নের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে পারবে বলে আমরা আশা করছি। তাই এক্ষেত্রে তাদের দূরদর্শিতার প্রমাণ রেখে যথাযথভাবে চুক্তির শর্তগুলো বাস্তবায়ন করাটাই উত্তম হবে। উদাহরণস্বরূপ: ১০ দিনের কারাবন্দী বিনিময় প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে ৪ মাস পর্যন্ত নেওয়া, ইমারতে ইসলামিয়ার বিভিন্ন নেতাদেরকে কালো তালিকা থেকে না সরানো, বেসামরিক অঞ্চলে বার বার ড্রোন হামলা, বোমা হামলা ও রেইড দেয়ার দ্বারা প্রকৃতপক্ষে কোনো কাজ হচ্ছে না। উপরন্তু এমন ধরনের কাজ যুদ্ধ জয়ের ক্ষেত্রেও কোনো ভূমিকা পালন করতে পারে না। বরং এ ধরনের কাজের দ্বারা পাল্টা হামলার সুযোগ তৈরি করে দেয়া হচ্ছে এবং জটিলতা বাড়ছে। তাই এই বিষয়গুলোকে যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক মহল উভয়ের জন্যই গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করা এবং আরও সমস্যা তৈরি করা থেকে সরে আসাটা সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরেকটি বিষয় যেটি আন্তর্জাতিক মহলের কাছে তুলে ধরা দরকার সেটি হচ্ছে, দখলদার আমেরিকা ও তাদের দোসররা আফগানের ক্ষমতায় এমন কিছু লোকজনকে বসিয়ে রেখেছে যারা আফগান ও আফগানবাসির শুভাকাঙ্ক্ষী নয়। তারা আফগানবাসীর চলমান দুঃখ-কষ্টের দিকে কোনো মনোযোগ দেয় না। আফগানবাসীর ব্যাপারে তাদের মধ্যে কোনো সহমর্মিতা পরিলক্ষিত হয় না। তবুও পশ্চিমারা এই গুটি কতক লোককে আফগানের ক্ষমতা, অর্থ ও সম্পদের নিয়ন্ত্রণ দিয়ে রেখেছে। তারা ক্ষমতাকে আঁকড়ে রাখার জন্য স্বল্পমেয়াদী উন্নয়নের দিকে বেশি মনোযোগী। আফগানে টেকসই উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের দিকে তাদের কোনো নজর নেই। এভাবেই তারা আফগানের সামগ্রিক উন্নয়নকে মন্থর করে রেখেছে এবং জাতীয় স্বার্থকে ক্রমাগত ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক:
আমরা আফগানে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ও উপমহাদেশে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় অন্যান্যদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী।
ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান পৃথিবীর সকল দেশের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে আগ্রহী। আমরা ইসলামিক দেশগুলোর সাথে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাই। প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে কল্যাণ ও বিশ্বাসের পরিবেশ সৃষ্টির উপর ইমারাতে ইসলামিয়া বেশ জোর দেয়। আমরা অন্যদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। একইভাবে আমরাও চাই অন্যান্য দেশগুলো আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করুক। কারণ আমরা বিশ্বাস করি পারস্পরিক এমন গঠনমূলক সম্পর্কই আমাদের ও অন্যান্য দেশের নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রের জন্য উপকারী।
পুনর্গঠন:
বিদেশী দখলদার সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের পর, ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান একটি স্বচ্ছ ইসলামিক সরকারের অধীনে দেশের পুনর্গঠন ও উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চায়।
কোষাগার যথাযথভাবে ব্যবহার করা হবে ইনশা আল্লাহ। পরিবহন খাতকে প্রাধান্য দিয়ে সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতিকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হবে ইনশা আল্লাহ। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের রাস্তাকে সহজ করা হবে। এতে করে আমাদের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে দ্রুতগতিতে পুনর্গঠন, ব্যাপক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার দিকে নিয়ে যাওয়া যাবে ইনশা আল্লাহ। এমন ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হবে যার দ্বারা আমাদের শহর ও গ্রামগুলো উন্নত হতে পারে এবং আমাদের দেশের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। আমাদের লক্ষ্য হলো– আফগানবাসীকে দারিদ্রতা, কষ্ট, দেশান্তর ও অন্যান্য দেশে কাজ করতে গিয়ে যে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তার থেকে মুক্ত করা। আফগানবাসী যেন একটি স্বস্তি ও সুখময় জীবন যাপন করতে পারে এবং একটি বৈধ ইসলামিক শাসনব্যবস্থার অধীনে নিরাপদে স্বস্তির শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করতে পারে—সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমরা কাজ করবো ইনশা আল্লাহ।
শিক্ষাব্যবস্থা:
শিক্ষা গ্রহণ মানব জীবনের একটি মৌলিক চাহিদা। নতুন প্রজন্ম ও যুবকদের অবশ্যই শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদেরকে জ্ঞানী করে তুলতে হবে এবং অবশ্যই তাদের মূল্যবান সময় কোনোভাবেই নষ্ট করা যাবে না।
দেশের প্রতিটি প্রান্তে শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করা আমাদের অন্যতম একটি লক্ষ্য। এজন্য ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সকল মুজাহিদদেরকে জাতির শিক্ষার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে সহজ করা ও শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা ও স্কুল নির্মাণে সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য সকল মুজাহিদদেরকে নির্দেশ দিয়েছে।
বিরোধীপক্ষের প্রতি আমাদের আহবান:
ব্যক্তিগত ও সম্মিলিতভাবে যারা আমাদের বিরুদ্ধচারণ করে যাচ্ছেন তাদের প্রতি আমাদের বার্তা হচ্ছে, আপনারা যুদ্ধ ও প্রতিরোধ বন্ধ করুন। আপনাদের জন্য ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের ক্ষমার দরজা সবসময় খোলা। আমরা আপনাদের পরিবারকে অভিভাবকহীন করতে চাই না। আমাদের সব সময়কার লক্ষ্য হলো, আমাদের বিরুদ্ধাচারণকারীদেরকে মুজাহিদদের সাথে যোগদান করানো এবং তাদের জীবনের নিরাপত্তা প্রদান করা। তাদের হত্যা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আর এজন্য আমাদের সরকার ব্যবস্থায় দাওয়াহ ও রিক্রুটমেন্ট নামে একটি স্বতন্ত্র কমিশন রাখা হয়েছে।
পরিচালনার নীতিমালা:
ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান আফগানের সকল মুজাহিদিন, কর্মকর্তা ও কর্মীদেরকে ধর্মীয় অনুশাসন ও নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা সম্বলিত ‘পরিচালনার নীতিমালা’ বই অনুযায়ী আইন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ও ঐক্য বজায় রাখার জন্য তাদেরকে তাদের সর্বোচ্চ শক্তি ব্যয় করার আহবান জানাচ্ছে। কারণ এরূপ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের ও নাগরিকদের—উভয়ের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবো। এভাবেই জাতীয় নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশা আল্লাহ। সেইসাথে আফগানবাসীর ঐক্য বৃদ্ধি পাবে এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা সহজ হবে ইনশা আল্লাহ।
পবিত্র ঈদ-উল-আযহার আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক এবং অভাবীদের জন্য স্বস্তি বয়ে আনুক। আমাদের সকল সম্পদশালী ও সচ্ছলদের তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী অবশ্যই গরীবদের বিশেষ করে এতিম, বিধবা ও নিঃস্ব পরিবারকে সাহায্য করার আহবান জানাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করবো আমাদের দ্বারা আল্লাহ যেন তাদেরকে অন্তত ঈদের দিনগুলোতে একটু স্বস্তি দান করেন।
পরিশেষে আমি আরেকবার আপনাদের সকলকে আসন্ন ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আল্লাহ আপনাদের সকল আনুগত্য ও ইবাদতকে কবুল করুন। আমিন।
—
ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রধান
আমিরুল মু’মিনিন শাইখ হিবাতুল্লাহ আখুন্দ যাদাহ হাফিজাহুল্লাহ
০৭/১২/১৪৪১ হিজরি চন্দ্র-বর্ষ
০৭/০৫/১৩৯৯ হিজরি সৌর-বর্ষ
২৮/০৭/২০ খ্রিস্টাব্দ
বার্তাটি ডাউনলোড করুন:
https://mega.nz/file/I7oHAAYJ#Uw7O9EAcMAmbtV1htLXEpTFiiAQ0_3FXZTHO9DNSU2k
https://archive.org/details/sayekh-hibatullah-hafijahullah-eid-ul-azha
http://s000.tinyupload.com/index.php?file_id=00359918452025043965
Docx
https://mega.nz/file/g2gDzAJK#KzKmek8zV_LfpJDg8nKIla5_a46pvCRuDAeSVU3Nof4
https://archive.org/details/sayekh-hibatullah-hafijahullah-eid-ul-azha_202007
http://s000.tinyupload.com/index.php?file_id=23428633367730318661
الحمد لله
আল্লাহ যেন আমাকে জিহাদের ভুমি আফগানিস্তানে হিজরত করার তাওফিক ও ব্যাবস্থা করেদেন৷ আমিন আমিন
আমার জন্য হে ভাই আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন ,আল্লাহ যেন আমার ইচ্ছে পূর্ণ করেন
إن شاءالله