টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্কুলছাত্রী অপহরণের ১৪ দিনেও পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। অভিযোগ দেওয়ার ১৩ দিন পর গতকাল সোমবার মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ৩ আগস্ট সকালে বাড়ির পাশ থেকে স্কুলছাত্রী মেহেরিনকে অপহরণ করা হয়। মেহেরিন মির্জাপুর উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের তেলিনা গ্রামের হুমায়ুন কবীরের মেয়ে। সে পার্শ্ববর্তী কালিয়াকৈর উপজেলার রশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। এব্যাপারে ছাত্রীর বাবা হুমায়ুন কবীর গত ৫ আগস্ট কালিয়াকৈর উপজেলার রশিদপুর গ্রামের তিনজনের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় অপহরণের লিখিত অভিযোগ করেন।
এদিকে অভিযোগ দেওয়ার ১৩ দিন পর গতকাল সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মির্জাপুর থানায় মামলা রেকর্ড করা হলেও মামলার বাদী হুমায়ুন কবীর তা জানেন না বলে সোমবার সন্ধ্যায় প্রেস ক্লাবে এসে সাংবাদিকদের জানান।
ছাত্রীর বাবা হুমায়ুন কবীর জানান, তার মেয়ে মেহেরিন পার্শ্ববর্তী কালিয়াকৈর উপজেলার রশিদপুর গ্রামের রশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে কালিয়াকৈর উপজেলার রশিদপুর গ্রামের ভুলু মিয়ার ছেলে নাহিদ মিয়া (২০) নানাভাবে উক্ত্যক্ত করত। এসব কথা মেহেরিন বাবা-মাকে জানায়। পরে হুমায়ুন কবীর বিষয়টি নাহিদের বাবাকে জানান। এতে নাহিদ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মেহেরিনকে চলার পথে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে তুলে নেওয়ার ভয়ভীতি দেখায়।
এঘটনার জের ধরে নাহিদ তার সহযোগীদের নিয়ে গত ৩ আগস্ট সকালে মেহেরিনের বাড়ির পাশে একটি বিলের কাছ থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মেহেরিনকে ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে মেহেরিনের বাবা ও আত্মীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে না পেয়ে অপহরণকারী নাহিদের পরিচয় পান। পরে হুমায়ুন কবীর নাহিদের বাড়িতে গিয়ে নাহিদের বাবা-মাকে ঘটনাটি অবহিত করেন এবং তিনজনকে আসামি করে ৫ আগস্ট মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযুক্তরা হলো কালিয়াকৈর উপজেলার রশিদপুর গ্রামের ভুলু মিয়ার ছেলে নাহিদ মিয়া (২০), একই এলাকার ছোহরাব মিয়ার ছেলে ইসরাফিল মিয়া (১৯) ও শিপন মিয়া (১৯)।
মির্জাপুর থানার এসআই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. দীপু সরকার জানান, সোমবার সকালে অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার ও স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান। কালের কন্ঠ