প্রায় দুই দশক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর কাতারের রাজধানী দোহায় ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের তালেবান মুজাহিদিন ও আমেরিকার মদদপুষ্ট কাবুল সরকার এবং অন্যান্য আফগান প্রতিনিধিদের মধ্যে আন্তঃ আফগান আলোচনা শুরু হয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তালেবানের অন্যতম প্রধান নেতা মোল্লা আবদুল গনি ব্রাদার, আমেরিকার মদদপুষ্ট কাবুল সরকারের জাতীয় পুনর্মিলনী পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ ও আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। এছাড়াও উপস্থিত ছিল ৩৪টি দেশের আমন্ত্রিত অন্যান্য প্রতিনিধিরাও।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমেরিকার মদদপুষ্ট কাবুল সরকারের প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমরা যদি একটি মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে হাত মেলাই এবং সততার সাথে কাজ করি, তাহলে দেশে চলমান দুর্দশার অবসান হবে। এর জন্য সে তালেবানকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়।
তালেবানের অন্যতম প্রধান নেতা মোল্লা আবদুল গনি ব্রাদার বলেন, আমি বৈঠকে অংশগ্রহণকারী উভয় পক্ষের প্রতিনিধিদের এই আহ্বান জানাই যে, তারা যেন দল ও ব্যক্তিগত স্বার্থকে ত্যাগ করে পবিত্র ধর্ম ইসলাম এবং দেশের উচ্চতর স্বার্থকে বিবেচনায় নিয়ে লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করেন। আফগান জনসাধারণকে উদ্দ্যেশ্য করে তিনি বলেন, ইমারতে ইসলামিয়া তার ক্ষতিগ্রস্থ জনসাধারণকে এই আশ্বাস দেয় যে, ইমারতে ইসলামিয়া আন্তঃ-আফগান সংলাপের সময় আন্তরিকভাবে মুসলিম জাতির জন্য শান্তি, স্থিতিশীলতা ও প্রশান্তির পথ তৈরির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।
আর আমি ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে বলছি, আমরা চাই আফগানিস্তান একটি স্বতন্ত্র, স্থায়ী, ঐক্যবদ্ধ, উন্নত ও মুক্ত-স্বাধীন দেশ হোক, এখানে এমন একটি পূণাঙ্গ ইসলামী শাসন ব্যবস্থা থাকবে, যেখানে জাতির সকল শ্রেণীর মানুষ নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হবে, তারা একটি সুখী পরিবেশে বাস করবেন। যার অধিনে মানুষ নিজেদের আদর্শের প্রতিফলন দেখতে পাবে।