কেবল সমাবেশই নয়, বরং নবীর সম্মান রক্ষায় হাতে বন্দুক তুলে নিতে হবে- আশ-শাবাব

2
1879
কেবল সমাবেশই নয়, বরং নবীর সম্মান রক্ষায় হাতে বন্দুক তুলে নিতে হবে- আশ-শাবাব

ক্রুসেডার রাষ্ট্র ফ্রান্স কর্তৃক মুসলমানদের প্রাণের স্পন্দন হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) এর ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শনী ও ইসলামোফোবিয়ার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ করছেন মুসলিমরা। যার ধারাবাহিতায় পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রিত ইসলামিক রাজ্যগুলোতেও চলছে এই বিক্ষোভ-মিছিল।

চলিত সপ্তাহেও হারাকাতুশ শাবাব নিয়ন্ত্রিত সোমালিয়ার জালব শহরে ক্রুসেডার ফরাসি রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাক্রোনকে নিন্দা জানিয়ে একটি সমাবেশ করেন মুজাহিদগণ। উক্ত সমাবেশে শহরটির হাজার হাজার লোক অংশগ্রহণ করেন। উক্ত সমাবেশ থেকে তারা রাসূল (ﷺ) এর সম্মান রক্ষার্থে নিজেদের জান উৎসর্গ করার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন।

এই সমাবেশে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি অংশগ্রহণ করেন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদদের একাধিক নেতৃবৃন্দ, আলেম, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ইসলামি যুবা রাজ্যের গভর্নর শাইখ মুহাম্মদ আবু আবদুল্লাহ।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অভিবাসীদের মধ্যে একজন ক্রুসেডার ফ্রান্স ও তার সরকার-কে উদ্দেশ্য করে দেওয়া ভাষণে বলেছিলেন: ” বিশ্ববাসী জেনে যাক যে, আমরা আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) এর জন্য নিজেদেরকে উৎসর্গ করছি, সোমালীয় পিতার সন্তানেরা আমাদের নবীর প্রতিরক্ষা করতে সর্বদা প্রস্তুত। আমরা ম্যাক্রোকে বলেছি, তুমি বিশ্বের যেখানেই আমাদের হাতের নাগালে পৌঁছাবে, আমরা তখনই তোমার মাথাটি পৃথক করবো। আর যদি তুমি কখনো সোমালিয়ায় আসার সাহস করো, তাহলে ভেবে নাও! আমরা তোমরা শরীর থেকে তোমার মাথা আলাদা করে ফেলেছি।

হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রিত যুবা রাজ্যের ওলি (গবর্নর) শইখ মুহাম্মদ আবু আবদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ্ সমাবেশে তাঁর এক বক্তব্যে বলেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক। আমরা সকলে আমাদের আদরের সন্তান, সকল ধন-সম্পদ ও নিজেদের জীবনের বিনময়ে রাসূল (ﷺ) এর প্রতিরক্ষা করবো, ক্রুসেডার ফ্রান্স ও আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধে করবো।

শাইখ মুহাম্মদ আবু আবদুল্লাহ (হাফিজাহুল্লাহ্) তাঁর বক্তব্যের শেষাংশে নিজ হাতের বন্দুকটি উঁচিয়ে জনসাধারণকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন যে, কেবল সমাবেশই নবী মুহাম্মদ (ﷺ) কে অপমানকারীদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট না, বরং নবীর সম্মান রক্ষার্থে আমাদের সকলের হাতে বন্দুক তুলে নেওয়া উচিত।

উল্লেখ্য যে, ২০১৩ সালে ক্রুসেডার ফ্রান্স বিশাল এক কমান্ডো বাহিনী নিয়ে হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিল, কিন্তু ঐ যুদ্ধে মুজাহিদদের কাছে শোচনীয় পরাজয় বরণ করে ক্রুসেডার ফ্রান্স। তখন হারাকাতুশ শাবাবের পক্ষ হতে এই যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শাইখ মুহাম্মদ আবু আব্দুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ্।

হারাকাতুশ শাবাবের বিরুদ্ধে ক্রুসেডার ফ্রান্সের এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল “ডেনিস অ্যালেক্স” নামক ফরাসী এক গোয়েন্দা অফিসারকে মুক্ত করা, যে সোমালিয়ায় ফরাসি গোয়েন্দা মিশনের সময় মুজাহিদদের হাতে ধরা পড়েছিলেন। তাকে মুক্ত করতে যেই কমান্ডো বাহিনীটিকে সেসময় ক্রুসেডার ফ্রান্স পাঠিয়েছিলো, মুজাহিদগণ তখন সেই কমান্ডো বাহিনীর প্রধান অফিসার এবং দুই উচ্চপদস্থ সেনা অফিসারসহ ঐদলের অনেক ক্রুসেডার সৈন্যকেই হত্যা করেছিলেন। যারা তখন বেঁচেছিলো তারা দ্রুতই ময়দান ছেড়ে পালিয়েছিল। পরে হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন ফরাসি গোয়েন্দা অফিসার “ডেনিস অ্যালেক্স”কে হত্যা করেন এবং তার ভিডিও চিত্র ক্রুসেডার ফ্রান্সের প্রশান্তির জন্য প্রকাশ করেন।

FB-IMG-16044277886486445

FB-IMG-16044007567693086

2 মন্তব্যসমূহ

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধকেনিয়া | মুজাহিদদের হামলায় ১০ ক্রুসেডার সৈন্য হতাহত, ট্যাঙ্কার ধ্বংস
পরবর্তী নিবন্ধখোরাসান | কান্দাহারে ইসলামি ইমারতের বিজয় অভিযানের চোখ জোড়ানো কিছু ভিডিও