চাঁদপুরের কচুয়ার সাতবাড়িয়া তা’লীমুল কোরআন মাদরাসায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে হিফজ বিভাগের ১৩ বছরের শিশুছাত্রকে বলাৎকারের আভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। পরে মিথ্যা অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষক মুক্তি পাবেন দু’একদিনের মধ্যেই।
গতকাল প্রথম সারির কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ‘হিফজ বিভাগের ১ত বছরের শিশুছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসাশিক্ষকের মাথা ন্যাড়া করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের কচুয়ার সাতবাড়িয়া তা’লীমুল কোরআন মাদরাসায়।
পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক ওমর ফারুককে (২২) গ্রেপ্তার করেছে। জানা যায়, গত ২৮ ডিসেম্বর বাথরুমে মাদরাসার হিফজ বিভাগের ১৩ বছরের শিশুছাত্রকে সে বলাৎকারের মিথ্যে অভিযােগ আনা হয়। পরে জানাজানি হলে স্থানীয় জনতা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাদরাসা ঘেরাও করে ওই শিক্ষককে আটক করে মাথা ন্যাড়া করে পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে কচুয়া থানার এসআই মকবুল হোসেন ফোর্স নিয়ে ওই দিন রাতেই উত্তেজিত জনতার রোষানল থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং বুধবার অভিযুক্ত ওমর ফারুককে জেলহাজতে প্রেরণ করে।’
মাদরাসার কর্তৃপক্ষের একজন সাজ্জাদ শাফায়াত জানিয়েছেন, ‘তাকে পুলিশ আটক করার পর কচুঁয়ার বড় বড় আলেমদের নিয়ে মিটিং হয়। মিটিংয়ের পর মাদরাসার সি সি টিভি ফুটেজ দেখা হয়। এতে দেখা যায়, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, শিক্ষক সম্পূর্ণ নির্দোষ। তার নির্দোষ প্রমাণ পাওয়ার পর গ্রামের লোকজন মিটিং করে সমাধান করে দিতে চেয়েছে।
কিন্তু এটা এতো সহজে সমাধান করা যাবে না। তাই এটার সাথে যারা যারা জড়িত ছিলো তাদের নামে আমাদের অত্র মাদরাসার পরিচালক মাওলানা হোসাইন সাহেব মামলা দেয়, আমার বাবাও মামলা দিবে । বর্তমান হুজুর জেলে আছে তাকে কাল বা পরশু ছেড়ে দিবে, তিনি বের হওয়ার পর আরেকটি মামলা দিবো ইনশাআল্লাহ।’
এই মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পেক্ষাপট তুলে ধরে শাফায়াত বলেন, ‘চাঁদপুর, কচুয়া, রহিমানগর বাজারে সাতবাড়িয়া বড় বাড়ি নামে আমাদের বাড়িটি পরিচিত। দাদু, চাচারা সবাই আমরা ঢাকায় বসবাস করি। তাই আমাদের বাড়িটি আমরা মাদরাসা করে ফেলি। এই ভেবে যে খালি বাড়ি পড়ে থাকার থেকে দুই চার টা ছেলে সেখানে কুরআন পড়বে আর সেখান থেকে কিছু সওয়াব পাবো তা ভেবে মাদরাসা করা।
আমাদের এই মাদরাসাটির শুরু থেকে বেশ শত্রু লেগে আছে কিন্তু তারপরও আমাদের মাদরাসা টা বেশ ভালো চলতে লাগলো আলহামদুলিল্লাহ। মাদরাসার বেশ সুনামও ছড়িয়ে যায় গ্রামে, মাদরাসাটি মাওলানা হোসাইন সাহেব পরিচালনা করেন, তিনি সম্পর্কে আমার আংকেল হয়।’