পাকিস্তানের কোয়েটা শহরে “ফাইভ স্টার সেরেনা হোটেল” এ একটি শক্তিশালী গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মুরতাদ বাহিনীর ১২টি গাড়ি ধ্বংস এবং ১৭ এরও অধিক মুরতাদ সৈন্য হতাহত হয়েছে।
উমর মিডিয়ার সূত্র জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল রাত ইশার সময় পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটারের সেরেনা পুলিশ স্টেশনের কাছে “ফাইভ স্টার সেরেনা হোটেল” এ একটি শক্তিশালী গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শহিদী হামলা চালানো হয়েছে।
সূত্র আরো জানায় যে, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) ইস্তেশহাদী ইউনিটের ‘মোহাম্মদ আব্বাস ফারুক’ (রহিমাহুল্লাহ) পাকিস্তানের মুরতাদ পুলিশ স্টেশনের নিকটস্থ “ফাইভ স্টার সেরেনা হোটেল” এ একটি শক্তিশালী গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শহিদী হামলা চালিয়েছেন।
গাড়ি বোমাটি সফলভাবে বিস্ফোরীত হলে কোয়েটার সহকারী কমিশনার এবং জাফরাবাদের সহকারী কমিশনারসহ মুরতাদ বাহিনীর বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিহত হয়েছে। তালেবান সুনির্দিষ্ট কোন সংখ্যা উল্লেখ না করে আরো জানিয়েছে যে, এই হামলায় নিহত এবং আহত হয়েছে আরো কয়েক ডজনেরও বেশি মুরতাদ পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তা।
এছাড়াও ধ্বংস পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সিটিংয়ের জন্য আসা মুরতাদ প্রশাসনের ১২টিরও অধিক গাড়ি। ধ্বসে পড়েছে হোটেলটির বিভিন্ন অংশ।
অপরদিকে পাকিস্তান ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ‘ট্রাবেল নিউজ’ জানিয়েছে, এই হামলায় বিলাল ও ইজাজ নামক দুই সহকারী কমিশনারসহ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ১৫ এরও বেশি পুলিশ সদস্য ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা। সংবাদ সূত্রগুলো থেকে আরো জানা যায় যে, হামলার সময় ঘটনাস্থলে চীনা রাষ্ট্রদূতসহ অনেক ভিনদেশী ক্রুসেডার কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিল।
তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মুখপাত্র মোহাম্মদ খোরাসানী হাফিজাহুল্লাহ্ তাঁর টুইট বার্তায় এই হামলার দায় স্বীকার করে বলেছিলেন যে, এটি পুলিশ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করে পরিচালনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত দু’বছরে পাকিস্তানি তালেবানদের দ্বারা এটি প্রথম বড় ধরণের বিস্ফোরণ। গত বছরের আগস্টে জামায়াত-উল-আহরার, হিযব-উল-আহররসহ বেশ কয়েকটি দল তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল, আর এই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানে টিটিপির আক্রমণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় গাদ্ধার পাকিস্তানের মুরতাদ বাহিনি
আলহামদুলিল্লাহ….
আল্লাহ বীরত্বপূর্ণ শহিদী হামলাকারীদেরকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন ।
আমিন ইয়া রব্বাল আলামীন
আলহামদুলিল্লাহ ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলা এই সমস্ত জাহান্নামের কীটগুলোকে লাঞ্ছিত করুন এবং এদেরকে ধ্বংস করে এই জমিনকে পবিত্র করুন।এবং মুসলিম উম্মাহকে নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত করে নিন এবং সম্মানিত করুন।এবং মুসলিম উম্মাহর অকুতোভয় জানবায মুজাহিদদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। এবং তাদের জন্য খেলাফত প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করে দিন। আমীন ইয়া রব্বাশ শুহাদায়ি ওয়াস সালিহীন।
আলহামদুলিল্লাহ!
খোরাসানী হাফি.এর টুুইটার একাউন্ট কারো জানা আছে?
প্লিজ একাউন্ট এড্রেসটা দিন!
আলহামদুলিল্লাহ
একটি সতর্ক বাহী সংবাদঃ
“আফগানিস্তানে ভয়ঙ্কর শক্তিশালী কয়েকটি বি-৫২ বোমারু বিমান এবং বাড়তি সেনা পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন। গতকাল শুক্রবার পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি এ খবর জানিয়েছেন।
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নিরাপদে আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহার করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে সেনা সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। সেনাদের সুরক্ষার জন্য আফগানিস্তানে আমেরিকা বাড়তি সেনাও মোতায়েন করতে পারে।
জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনা উপস্থিতি জোরদার করার অংশ হিসেবে এই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আফগানিস্তান থেকে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দেয়ার কয়েক দিন পর পেন্টাগনের মুখপাত্র এসব তথ্য জানালেন।
জন কিরবি আরও জানান, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন লয়েড এরইমধ্যে আফগানিস্তানে কয়েকটি দীর্ঘ পাল্লার বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েন করার বিষয়টি অনুমোদন করেছেন। এছাড়া পারস্য উপসাগরে আইসেনহাওয়ার যুদ্ধজাহাজ রাখা হবে। ”
সংরহঃ https://www.bd-pratidin.com/international-news/2021/04/24/642669
“আপনাদের আর শক্ত প্রস্তুতি নিতে হবে”
বাংলাদেশে এ রকম হামলার প্রয়োজন