বিশ্বের কূটনীতিক নিন্দা উপেক্ষা করে গত ৪ জুন শুক্রবার অস্ট্রিয়া দৃঢ়ভাবে দখলদার ইসরাইলের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছে।
অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনে যখন ইসরাইলের ঘৃণ্য আগ্রাসন চলছিল, তখন সন্ত্রাসী ইসরাইলের প্রতি সমর্থন জানিয়ে অস্ট্রিয়া তার প্রশাসনিক দপ্তরে ইসরাইলি পতাকা উড়িয়েছে।
অস্ট্রিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যাচলেনবার্গ দৈনিক সংবাদপত্র “ডাই প্রেসে” দেয়া সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেন, প্রধানমন্ত্রী সেবাস্টিয়ান কুর্জের ইসরাইলের সাথে জোটবদ্ধতার কারণে অস্ট্রিয়ার মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে।
আলেকজান্ডার বলেন,”অস্ট্রিয়া এখানে ভেবেচিন্তে তার ইসরাইল নীতির সত্যায়ন করেছে। এটা অস্ট্রিয়ার সরকারি কর্মসূচিতেও রয়েছে।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন,”অস্ট্রিয়া ইসরাইলের প্রতি তার ঐতিহাসিক দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত। তাই “অষ্ট্রিয়া-ইসরাইল” সম্পর্কের ফলে আমরা আমাদের নীতিতে স্পষ্টত পরিবর্তন এনেছি।”
মানবতা বিরোধী ইহুদি রাষ্ট্রের কট্টর মিত্রতার কারণে অস্ট্রিয়া সারা বিশ্বে কড়া সমালোচিত হয়েছে। বিশেষত, গত মে মাসে অবরুদ্ধ গাজায় ন্যাক্যারজনক ইসরাইলি বিমান হামলা চলাকালে অস্ট্রিয়া ইসরাইলের সমর্থনে সরকারী অফিস ও পররাষ্ট্র দপ্তরে ইসরাইলি পতাকা উড়ানোর পর সচেতন বিশ্ব অস্ট্রিয়ার প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
অষ্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী সেবাস্টিয়ান কুর্জ সে সময় টুইটারে ছবি আপ্লোড করে লিখেন, “আজ অষ্ট্রিয়ার কেন্দ্রীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ইসরাইলের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইলি পতাকা শোভা পাচ্ছে।… একইসাথে আমরা ইসরাইলের পাশে দাঁড়িয়েছি।”
তাছাড়াও, অষ্ট্রিয়ার পররাষ্ট্র আলেকজান্ডার ইসরাইলের নিরাপত্তার প্রতি দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, অস্ট্রিয়ার এমন মনোভাব দেশটির ঐতিহ্যগত নিরপেক্ষতা নীতির বিপরীত।
এটি ফিলিস্তিনি মুসলিমদের মৌলিক নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকারের প্রতি চরম অবহেলা প্রদর্শনও বটে।
সম্প্রতি গত মে মাসে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ও অবরুদ্ধ পশ্চিম তীরে ইসরাইলের সর্বশেষ আগ্রাসনে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ২৮৯ জন মুসলিম নিহত হন। তাছাড়াও বহু ফিলিস্তিনির ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকায় ১১ দিনব্যপী ইসরাইলি বিমান হামলায় জরুরি স্বাস্থ কেন্দ্র, শিশুদের স্কুল, গণমাধ্যম কার্যালয় সহ বহু মুসলিম বসতি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।