ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের হেলমান্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ প্রতিনিধির কার্যালয়ে হেলমান্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত মান নিশ্চয়ত করণে এক দিনের বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত সেমিনারে হেলমান্দ উচ্চশিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা ও সদস্য, হেলমান্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সহকারী এবং সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র কোরআনের আয়াত দিয়ে সেমিনার শুরু হয়, এরপর হেলমান্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সহকারী জনাব মোহাম্মদ নাঈম দোস্ত ঐতিহাসিক পটভূমি এবং শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার উপর বক্তব্য রাখেন।
দোস্ত সাহেব তার বক্তব্যে বলেন: “বিশ্ববিদ্যালয় যাতে সহজেই মান নিশ্চিত ও পূরণ করতে পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য তিনটি ধাপ চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথম ধাপে শিক্ষার মান ৫১ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত এবং দ্বিতীয় রাউন্ডে এটি ৭২ শতাংশে বেশি হওয়া উচিত। আর তৃতীয় ধাপে এটি ৮৫ শতাংশেরও বেশি হওয়া চাই।
তার বক্তব্যের পর সেমিনার ধারাবাহিকভাবে শুরু হয়, যা অংশগ্রহণকারীদের কাছে উপস্থাপন করেন জনাব দুররানি সাহেব।
সেমিনারে আফগানিস্তানের পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা, বিশেষ করে হেলমান্দের তথ্য প্রদান করা হয়েছিল।
সেমিনারে শিক্ষার মান উন্নয়নে ১১ টি প্রধান এবং ৪৯ টি উপ-মানদণ্ড পেশ করা হয়েছে। পরে এর প্রতিটি মানসম্মত নমুনা সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের কাছে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল।
সেমিনারের শেষে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি চায় তার শিক্ষার্থীরা স্মার্ট হোক এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা সফল হোক, তাহলে শিক্ষার গুণমানের প্রতি আরো মনোযোগ দেওয়া উচিত। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ছাত্রই অবশ্যই একজন যোগ্য ব্যক্তি হয়ে উঠবে এবং জনগণ ও দেশের উন্নয়নে কাজ করবে।
সর্বশেষ হেলমান্দের উচ্চশিক্ষা প্রতিনিধি ড. সামিউল্লাহ সাঈদ, সেমিনারের সকল প্রভাষক এবং অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ করে হেলমান্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক এবং একাডেমিক সহকারীকে ধন্যবাদ জানান।