হিন্দুত্ববাদী ভারত নিজেকে বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ দাবি করে। মুসলিমদের গণতান্ত্রিক ধোঁকায় ফেলে বোকা বানিয়ে রেখেছে যুগ যুগ ধরে। কথিত বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা এখন ভয়ংকর রূপ ধারণ করে প্রকাশ্যে আসছে।
মুসলিমদের অধিকার তারা জোরপূর্বক হরণ করবে। আর এজন্য কোন অপরাধিকেই কোন শাস্তি বা বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না, কারণ তারা হিন্দু। কিন্তু অন্যায়-অবিচারের প্রতিবাদ করলেই হিন্দুত্ববাদী পুলিশ মুসলিমদের উপর হামলা চালাচ্ছে।
ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে হিজাব নিষিদ্ধের প্রতিবাদে বোরকা পরিহিত মুসলিম নারীদের বিক্ষোভে পুলিশ নির্মমভাবে লাঠিপেটা করেছে।
ওই বিক্ষোভের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ লাঠি দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছে। এ সময় এক নারী বিক্ষোভকারী পুলিশের লাঠিচার্জ থামানোর চেষ্টা করছেন।
কর্ণাটকের একটি কলেজে প্রথম হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর কর্ণাটকসহ দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিক্ষিপ্তভাবে বিক্ষোভ চলছে। হিজাব নিষিদ্ধের বিষয়টি নিয়ে দেশটির উচ্চ আদালতে শুনানি চলছে। ভিডিওটি সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে কিছু মানুষ পুলিশের এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন।
এদিকে, প্রকাশ্যে হিজাব পরা সহ্য করা হবে না বলে হুমকি দিয়েছে ভারতের মধ্য প্রদেশের ভোপালের বিজেপির সাংসদ হিন্দুত্ববাদী প্রজ্ঞা ঠাকুর। গতকাল বুধবার মধ্য প্রদেশের একটি মন্দিরের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সে এমন মুসলিম বিদ্বেষী বক্তৃতা দিয়েছ
এমন পরিস্থিতিতে হিন্দুত্ববাদীদের জিঘাংসা যেহেতু দিনকে দিন তীব্র আকার ধারন করছে, মুসলিমদেরকেও তাই নিজেদের প্রতিরক্ষা নিশ্চিতকরণে পাল্টা প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আসছেন উম্মাহদরদী আলেমগণ।
তথ্যসূত্র:
—–
১। উত্তরপ্রদেশে হিজাবধারী নারীদের বিক্ষোভে পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জ
https://tinyurl.com/2p8pk4jm
২। প্রকাশ্যে হিজাব পরা সহ্য করা হবে না : বিজেপির সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর
https://tinyurl.com/mt4mujxc