নিউজিল্যান্ডের একটি গার্লস স্কুলে মুসলিম কিশােরীকে নৃশংসভাবে মারধর করার পর হিজাব টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে ক্রুসেডীয় আদর্শধারী একদল খ্রিস্টান।
বার্তা সংস্থা ডকুমেন্টস অপরেশন এগেইনস্ট মুসলিম (DOAM) জানায়, স্থানীয় কয়েকজন খ্রিস্টান যুবক মুসলিম শিক্ষার্থীদের অপমান করার উদ্দেশ্যে আরবি শব্দের অর্থ জানতে চায়। মুসলিম শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
এর পরই কিশোরীদের উপর চড়াও হয় ঐ খ্রিস্টান যুবকরা। এসময় তারা কিশোরীদের শারীরিকভাবে আঘাত করতে থাকে। কিল-ঘুষি মারতে মারতে এক সময় তাদের হিজাব টেনে ছিঁড়ে ফেলে।
পরে আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে নেয়ার পরও আক্রমণকারীরা সহিংস ছিল। তারা সেখানে চিৎকার করে মুসলিম নারীদের নিয়ে অশ্লীল গালাগালি ও সন্ত্রাসী বলতে থাকে।
উল্লেখ্য যে, নিউজিল্যান্ডের এ ঘটনাটি হলুদ মিডিয়া ঠাই পায়নি। কেননা এ ঘটনাটি ঘটেছে মুসলিমদের সাথে।
আর নিউজিল্যান্ডে মুসলিম নির্যাতন কোন নতুন ঘটনা নয়। ক্রাইস্টচার্চে মসজিদ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় উগ্র সেতাঙ্গবাদী ব্রেন্টন হ্যারিসন কর্তৃক ৫০ জন মুসলিমকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করার ঘটনা সহ অন্যান্য ইসলামবিদ্বেষী ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে সেখানে। এর পরেও পশ্চিমা দালাল মিডিয়া মিডিয়া নিউজিল্যান্ডকে ‘শান্তির দেশ’ বলে প্রচার করে থাকে।
বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের উপর বিভিন্ন জাতির চালানো অবর্ণনীয় জুলুম-নির্যাতনের ব্যাপারে জাতিসংঘ, কথিত সুশীল সমাজ বা হলুদ মিডিয়া – এরা সবাই সম্পূর্ণ নির্বাক ভূমিকা পালন করে।
অথচ যদি বিশ্বের কোথাও কোন নামধারি মুসলিমও অন্য কাউকে অত্যাচার তো দূরের কথা, নিজের উপর হওয়া অন্যায়-অবিচারের বদলা নেওয়ার জন্যেও যদি কিছু করে, তখন ঐ মানবতাবাদের মুখোশ পরিহিত কথিত সুশীলরা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে, আর পক্ষপাতিত্বমূলক মানবাধিকারের বুলি আওড়াতে থাকে।
এভাবেই তারা মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ তুলে মুসলিমদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদকারী ও প্রতিরোধকারী উম্মাহর বীর সন্তানদেরকে সন্ত্রাসী-উগ্রবাদী বলে ক্রমাগত মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাতে থাকে। মুসলিমদের প্রতি মিথ্যা-বানোয়াট অভিযোগ ও বিদ্বেষ ছড়াতে কিংবা উম্মাহর বীরদের নামে কুৎসা রটনা করতে তারা সামান্যতম কুণ্ঠাবোধ করে না, এতটুকু দ্বিধা বোধ করে না।
তথ্যসূত্র:
1. Muslim teen brutally beaten and #Hijab Ripped Off in #NewZealand school –
https://tinyurl.com/yyrdfmc9