পবিত্র আল-আকসা মসজিদ কেবল মুসলিমদেরই ইবাদতের স্থান। এখানে ইহুদিদের প্রবেশের কোনো অধিকার নেই। কিন্তু জেরুজালেম দখলের পর নিয়মিতই পবিত্র আল-আকসায় অনুপ্রবেশ করছে নাপাক ইহুদিরা। সেই সাথে মসজিদটির অর্ধেক মালিকানাও দাবি করেছে তারা। তাদের দাবি, আল-আকসা প্রাঙ্গণেই কথিত টেম্পল মাউন্ট অবস্থিত ছিল।
গতকাল (৩ জানুয়ারি) পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে সফর করেছে ইসরাইলের সদ্য নিরাপত্তা মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া ইতেমার বেন গাভির। ফিলিস্তিনিদের প্রতি বিদ্বেষ ও আগ্রাসনের জন্য কুখ্যাতি রয়েছে তার।
মন্ত্রিত্বের প্রথম দিনেই সেনা নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে মসজিদ আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে সে। এ সময় তার সাথে ছিলো ইহুদি ধর্মগুরুরাও।
এরপর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুসলিমদের হুমকি দিয়ে কুখ্যাত ইতেমার বেন গাভির জানায়, ‘ইহুদিদের জন্য এই স্থান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই, আমরা এই স্থানকে কোনোভাবেই হামাসের মতো সশস্ত্র সংগঠনের সম্পদে পরিণত হতে দেবো না। যারাই ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে তাদেরকেই কঠোর হাতে দমন করা হবে।’
মূলত ইসরাইলের উগ্র ইহুদিবাদী লিকুদ পার্টির নেতানিয়াহু সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে ইহুদি আগ্রাসন নতুন মাত্রা লাভ করেছে। তার আগমনে গত দু’দিনে ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে ইহুদিরা। পশ্চিম তীরের কাফর দান এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালায় দুটি ফিলিস্তিনি বাড়িতে। ইসরাইলি বাহিনী বিস্ফোরক বোমা দিয়ে গুড়িয়ে দেয় পুরো ভবন।
এ সময় দুজন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা ও ছয় ফিলিস্তিনিকে আহত করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এছাড়াও হামলা হয়েছে আল-আকসাগামী মুসল্লীদের ওপর। ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হয়েছে পশ্চিম তীরের কয়েকটি এলাকায়।
এভাবে দখলদার ইহুদিরা ধীরে ধীরে ফিলিস্তিনের অধিকাংশ ভূখণ্ডে নিজেদের দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রায় ৭৫ বছর পার হয়ে গেলেও ইহুদিদের থেকে কোনো ভূমি ফিরিয়ে আনতে পারেননি মুসলিমরা। মুসলিমদের এই ভূখণ্ড ইহুদিদের দখলমুক্ত করতে নববী সুন্নাহ অনুসরণে সশস্ত্র লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন ইসলামি বিশেষজ্ঞ ও আলেমগণ।
তথ্যসূত্র:
১। Israeli security minister breaks into Al-Aqsa Mosque – https://tinyurl.com/jm7ax76a
২। ভিডিও লিংক – https://tinyurl.com/26c9kvxs
৩। ফিলিস্তিনি বাড়ি গুড়িয়ে দেয়ার লোমহর্ষক দৃশ্য – https://tinyurl.com/zdhxvwat