উত্তরপ্রদেশে পুলিশ হেফাজতে মুসলিমদের মৃত্যুর ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায়।
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী জানিয়েছেন, কফিল কোতয়ালী নগর এলাকার বাছদা সুলতানপুরের মুসলিম বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক। ১৩ জানুয়ারী সন্ধ্যায় চুরির সন্দেহে দুই সাদা পোশাকের পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
স্ত্রী বলেছেন, খবর জানাতে আমাকে ১১২ নম্বর থেকে ফোন দেয়। এবং পুলিশ থানায় গিয়ে রিপোর্ট দিতে বলে। থানায় যাওয়ার পরও তাদের কোন সাহায্য পাইনি।
কফিলের স্ত্রীকে একটি সাদা কাগজে সই করার জন্য পুলিশ নিয়েছিল বলে জানায়। সন্ধ্যার পর আরও একটি ফোন আসে। পুলিশ জানায় থানা থেকে আপনার স্বামীকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। নিয়ে আসার পরে গুরুতর আহত হওয়ায় তিনি রাস্তার মাঝেই পড়ে যান। লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয় এবং মৃত্যুর কারণ গুরুতর অসুস্থতা বলে জানায়।
হিন্দুত্ববাদী ভারতের মতো বাংলাদেশেও রক্ষকের নামে পুলিশ ভক্ষক হয়ে উঠেছে। আর বাংলাদেশের পুলিশ-প্রশাসনে ব্যাপকভাবে হিন্দুয়ানিকরণের ফলে এটাকে এখন ভারতের শাখা পুলিশ বলেও অভিহিত করা যায়।
মুসলিমদের জীবন নিয়ে তারা তামাশা করে যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী এই পুলিশ বাহিনী। পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুকে একটি সাধারণ বিষয় বানিয়ে ফেলেছে তারা সর্বত্র। কোন ধরণের জবাবদিহিতা না থাকায় মুসলিম খুনকারীরা সহজেই পার পেয়ে যায় এরা।
নিজেদের চালানো নির্যাতনকে বৈধতা দিতে অফিসাররা সাফাই গায় অসুস্থতার কারণে মৃত্যুর। প্রকৃতপক্ষে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের চালানো বর্বরতার কারণেই মৃত্যু হয়ে থাকে অসহায় মুসলিমদের। উপমহাদেশের মুসলিমদেরকে তাই হিন্দুত্ববাদী পুলিশের নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে, প্রয়োজনে গড়ে তুলতে হবে প্রতিরোধ।
তথ্যসূত্র:
——-
1. अयोध्या: पुलिस हिरासत में कफ़ील की मौत का आरोप, चोरी के शक में पुलिस ने घर से उठाया था, शाम को मौत की ख़बर आई
– https://tinyurl.com/mrywmddb