ভারতে এক হিন্দু উগ্র নেতা প্রকাশ্যে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে। পাশাপাশি, মন্দির নির্মাণের জন্য ৩০,০০০ মসজিদ ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
রাজস্থানের লোহাওয়াতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) প্রচারক এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) সংগঠনের মন্ত্রী ঈশ্বর লাল বলেছে, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো ৩০,০০০ মসজিদকে মন্দিরে রূপান্তরিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
‘ত্রিশূল দীক্ষা’ অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় সে আরো বলেছে, “আমরা রাম মন্দির বানিয়েছি এবং এখন আমাদের আরও ত্রিশ হাজার মসজিদকে মন্দিরে রূপান্তর করতে হবে।”
‘ত্রিশূল দীক্ষা’ বজরং দল আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান যেখানে হিন্দুদের মধ্যে ত্রিশূল বিতরণ করা হয়।
এই হিন্দুত্ববাদী নেতা তার বক্তৃতায় হিন্দুদেরকে হালাল পণ্য বয়কট করারও আহ্বান জানায়। উগ্রবাদী লাল বলেছে, “কখনও হালাল পণ্য কিনবেন না। সে টাকা কে পায়? মুসলমান।”
এছাড়াও দেশে জনসংখ্যা আইন করারও আহ্বান জানিয়েছে সে। বজরং দল জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নে সরকারকে সাহায্য করবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে এই উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতা। সে আরো জানায়, এ সংগঠনগুলো ভারতকে একটি হিন্দু রাষ্ট্র, হিন্দু জাতিতে পরিণত করবে।
‘প্রাচীন মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল’- এই ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে একের পর এক ঐতিহ্যবাহী মসজিদগুলো ভাঙ্গার পটভূমি তৈরি করছে গেরুয়া সন্ত্রাসীরা।
গো-পূজারী উগ্র হিন্দুরা উদ্দেশ্যমূলকভাবেই ঐতিহ্যবাহী মসজিদগুলোকে বিতর্কিত করতে হিন্দুত্ববাদী আদালতে একের পর এক মামলা করছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো মসজিদের স্থানগুলোকে প্রথমে বিতর্কিত করা, যেন হিন্দুত্ববাদী আইন-আদালতের মাধ্যমে পরে ঐ জায়গাগুলো দখল করা যায়।
হিন্দুত্ববাদী দলগুলো ক্রমাগত স্লোগান দিচ্ছে – “অযোধ্যা তো সিরফ ঝাঁকি হ্যায়, কাশী মথুরা বাকি হ্যায়।” এর অর্থ হচ্ছে – অযোধ্যা তো নিছক সূচনামাত্র, কাশী এবং মথুরা এখনও বাকি আছে। আর এবার আরএসএস প্রচারক এবং ভিএইচপি এর মন্ত্রী ঈশ্বর লাল বলেছে, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো ৩০,০০০ মসজিদকে মন্দিরে রূপান্তরিত করবে।
তথ্যসূত্র:
——–
1. RSS member calls for converting 30,000 mosques into temples
– https://tinyurl.com/5h72wczv