বৈশ্বিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আতুল কায়েদার পূর্ব আফ্রিকা শাখা হারাকাতুশ শাবাব সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কেনিয়ায় তাদের হামলা জোরদার করছেন। আর তা ২০২১ সালের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেড়েছে বলে মত সামরিক বিশ্লেষকদের।
সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পলিসি স্টাডিজ (CHRIPS) এর প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, প্রতিরোধ বাহিনী আশ-শাবাব ২০২২ সালে কেনিয়াতে ২৬ শতাংশ আক্রমণ বাড়িয়েছে। আর এতে দেশটির সামরিক বাহিনীর অন্তত ১১৬ সদস্য নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও দ্বিগুণ। যদিও হতাহতের বাস্তবিক সংখ্যা তাদের প্রকাশিত সংখ্যার চেয়ে আরও কয়েকগুণ বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে কেনিয়ার সংবাদপত্র দ্যা স্টারের মতে, ২০২১ সালে শাবাব মুজাহিদিন কেনিয়াতে ৫১টি হামলা চালিয়েছেন, যাতে সামরিক বাহিনীর ১০০ সদস্য নিহত হয়েছে। সেখানে ২০২২ সালে এসে প্রতিরোধ যোদ্ধারা কেনিয়ায় ৮৬টি হামলা চালিয়েছেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমালিয়ার সীমান্তবর্তী কেনিয়ার ৪টি রাজ্য ছিল এসব হামলার কেন্দ্রবিন্দু। এরমধ্যে মান্দিরা রাজ্যটি শাবাব মুজাহিদিন কর্তৃক সবচাইতে বেশি হামলার শিকার হয়েছে। সেখানে গত বছর ৩৭টি হামলা চালিয়েছেন তাঁরা। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক হামলা চালানো হয়েছে লামুতে; সেখানে শাবাব মুজাহিদিনের ২১টি হামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এরপর গারিসাতে চালানো হয়েছে ১৯টি এবং ওয়াজির জেলা সাক্ষী হয়েছে শাবাবের ৯টি হামলার।
আশ-শাবাব মুজাহিদিন তাদের এসব হামলার প্রায় ৫০ শতাংশই চালিয়েছেন সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের টার্গেট করে, বাকি ৫০ শতাংশ হামলা চালানো হয়েছে সামরিক বাহিনী ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে টার্গেট করে।
প্রতিবেদনে এটি জোর দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কেনিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে শাবাবের হামলা গত ৫ বছর ধরে উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে।
CHRIPS-এর গবেষক রাহমা রামাতানের মতে, “আশ-শাবাব সারা বছর ধরে তার আক্রমণ বাড়িয়ে নিরাপত্তার হুমকি সৃষ্টি করে চলেছে। তাঁরা কেনিয়ায় চালানো হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে বড় আকারের শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস ব্যবহার করেছে। সেই সাথে শাবাব মুজাহিদিন বর্তমানে কৌশলগত ল্যাপসেট বন্দর, সেনাবাহিনীর যোগাযোগ লাইন ও লজিস্টিক রুটকে তাদের হামলার টার্গেট বানাচ্ছেন। একই সময়ে, কেনিয়াতে পশ্চিমা কেন্দ্র এবং মার্কিন ঘাঁটিগুলিও তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে।”