গত ফেব্রুয়ারিতে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ১৮৭টি ঘরবাড়ি ও স্থাপনা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে দখলদার ইসরাইল। আন্তর্জাতিক কোন নিয়ম নীতি না মেনেই এসব ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটি।
সম্প্রতি শামস নামের একটি মানবাধিকার সংস্থার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে ৯ ফিলিস্তিনি মুসলিমকে আদালতের নোটিশ প্রদান করে তাদের বাড়ি ভেঙে ফেলতে বাধ্য করে ইসরাইলি প্রশাসন।
এছাড়াও ৬০ টি স্থাপনা ভেঙে ফেলতে বা নির্মাণাধীন ভবনের কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ জারি করেছিল ইসরাইল। এরপর বুলডোজার দ্বারা এসব স্থাপনা গুড়িয়ে দেয় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে আবাসিক ভবন, পাথর দ্বারা নির্মিত বাড়ির দেয়াল ও মসজিদ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের মধ্যে যারা ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত, জোরপূর্বক তাদের বাড়িঘরও সিলগালা করে দিচ্ছে ইসরাইলি প্রশাসন। গত কিছুদিন আগে ইসরাইলি আগ্রাসনে শহীদ হওয়া এক ফিলিস্তিনি নেতার বাড়িও সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি পশ্চিম তীরে এ-যাবৎকালের সবচেয়ে বেশি আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইল, লক্ষ্য পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলের অংশে পরিণত করা। এ জন্য গত বছর থেকেই পশ্চিম তীরে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে তারা। তাদের আগ্রাসন থেকে বাদ পড়েনি অবুঝ শিশু থেকে বয়সের ভারে ন্যুব্জ ফিলিস্তিনিরাও। এসব আগ্রাসনে চলতি বছর মাত্র আড়াই মাসে খুন করা হয়েছে ৮০ জন ফিলিস্তিনি মুসলিমকে।
পশ্চিমারা মুখে মুখে সব সময় বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলে। অথচ ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনে এমন বর্বরোচিত আগ্রাসন সত্বেও পশ্চিমা বিশ্ব ইসরাইলকেই প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। বিপরীতে ফিলিস্তিনিরা নিজ ভূমি উদ্ধারে কোন প্রতিরোধ-প্রতিবাদ করলেই সন্ত্রাসী বলা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
——-
1. 187 Palestinian facilities demolished, closed in February 2023
– https://tinyurl.com/y62w8c4n