আমেরিকার আগ্রাসন থেকে দেশকে স্বাধীন করে তালিবান প্রশাসন আফগানিস্তানে ইসলামি ইমারাত প্রতিষ্ঠা করেছে ২০২১ সালে আগস্ট মাসে। প্রায় দুই বছর হতে চললেও, আন্তর্জাতিকভাবে কোনো দেশ এখন পর্যন্ত তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।
তবে, তালিবান প্রশাসনের বিরামহীন প্রচেষ্টায় এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৪টি দেশে ইসলামি ইমারতের দূতাবাস চালু হয়েছে। এসকল দূতাবাসে কূটনীতিকদের নিয়োগ দানের মাধ্যমে কূটনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেছে নতুন প্রশাসন।
এর ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে ইরান ও তুরস্কের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইয়েও আফগানিস্তান কনস্যুলেট জেনারেলে (দূতাবাস) কূটনীতিকদের নিয়োগ করেছে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সরকার।
ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসনের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ (হাফি.) সাম্প্রতিক কূটনীতিক নিয়োগের বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, সাবেক সরকারের কূটনীতিকরা ইসলামী আমিরাত প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।
বিভিন্ন দেশে নতুন কূটনীতিকদের নিয়োগ করা বিষয়ে জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, বিশ্বের অন্তত ১৪টি দেশে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য দেশেও আফগান দূতাবাসে কূটনৈতিকদের নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
বর্তমানে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের কূটনীতিকরা ইস্তাম্বুল, ইসলামাবাদ, দুবাই, মস্কো, বেইজিং, ক্রেমলিন, কাজাখস্তান এবং আস্তানার মতো শহরগুলি ছাড়াও কয়েকটি আরব ও আফ্রিকান দেশে কাজ করছেন।
এই নিয়োগের মাধ্যমে ধারণা করা হচ্ছে, পুরো বিশ্বের সাথে ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসনের যে কূটনৈতিক দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, তা আগামীতে ধীরে ধীরে কমে আসবে ইনশাআল্লাহ।
ماشاء الله طالبان مجاهد
alhamdulillah Allah Kobul Korun.