আবারো নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি নৌকা সাগরে ডুবে গিয়েছে। নৌকাটিতে অন্তত ৫৮ জন যাত্রী ছিল। মর্মান্তিক এ নৌকা ডুবির ঘটনায় ৮ জন্য ব্যতিত সকলে নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ৭ আগস্ট আরাকান প্রদেশের সিটওয়ের উপকূলে এ ঘটনাটি ঘটে।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের সূত্রে জানা যায়, নৌকা ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনের লাশ উপকূলীয় এলাকায় পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে ১০ নারী ও ৭ জন পুরুষ রয়েছে। বাকী ৩৩ জনের লাশ এখনো নিখোঁজ রয়েছে। জীবিত ৮ জনকে আহত অবস্থায় গ্রেফতার করেছে মিয়ানমার পুলিশ।
সাগরে ঝড় ও উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে নৌকাটি ডুবেছে বলে মনে করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার শিকার রোহিঙ্গাদের সকলেই আরাকানের রাথিডং, মংডু এবং বুথিডং এলাকার বাসিন্দা। তবে তাদের যাত্রাস্থল বাংলাদেশ নাকি আরাকান তা নিশ্চিত করেনি গণমাধ্যমটি।
কয়েক দশক ধরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা ও নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করে আসছে মিয়ানমার সরকার। সবশেষ ২০১৭ সাথে তাদের ওপর গণহত্যা ও উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী। সে সময় লাখ লাখ লোক প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোতে আশ্রয় নেয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তারা শরনার্থী হিসেবে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছে।
এরপর দীর্ঘ কয়েক বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত নিজ দেশে ফিরতে পারেনি তারা। কথিত আধুনিক ও সভ্য বিশ্ব ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত তাদেরকে ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ নিতে পারেনি। ফলশ্রুতিতে তাদের দুঃখ-দুর্দশা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
——
1. 17 dead after Rohingya boat from Myanmar capsizes on the way to Malaysia
– https://tinyurl.com/y7et5caw
বর্তমান দাজ্জালি বিশ্বব্যবস্থায় গরু, ছাগলের মতো পশুদেরও মানবাধিকার রয়েছে কেবল মুসলিমদেরই কোনো মানবাধিকার নেই….
মুসলিম উম্মাহর সন্মান, নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য এই দাজ্জালিয় বিশ্বব্যবস্থা ধ্বংস করে খিলাফত প্রতিষ্ঠাই একমাত্র পথ।