কুশতেপা খাল নিয়ে অন্য দেশের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়: জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ

- সাইফুল ইসলাম

0
719
খননকৃত কুশতেপা খালের একাংশ

ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের বৃহত্তম প্রকল্প কুশতেপা খাল খনন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরেশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। তবে ইমারতে ইসলামিয়া কর্তৃপক্ষ বলছে, কুশতেপা খাল খনন নিয়ে অন্য কোনো দেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।

কিছু কিরগিজ মিডিয়ার সূত্রে জানা যায়, ইউরেশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেছে যে কুশতেপা খাল খননের মাধ্যমে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে পানির অভাব আরও বেশি তীব্রতা লাভ করবে।
ইমারতে ইসলামিয়া এই ধরনের আশংকাকে নাকচ করে দিয়েছে। আমু দরিয়ার পানির উপর আফগানিস্তানের যে অধিকার, সেটি নেওয়ার দ্বারা অন্য দেশের পানির অধিকার খর্ব করা হবে না বলে জানান ইমারতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র।
মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, “কুশতেপা খালের পানি নিয়ে অন্য কোনো দেশের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়। এই খালে আফগানিস্তান যেটুকু পানির উপর অধিকার রাখে, সেটুকুই ব্যবহার করা হবে।”

এবিষয়ে সায়েদ মাসুদ নামে একজন অর্থনীতিবিদ বলেন, “আসলে কুশতেপা খাল এই অঞ্চলের পানির উপর রাজত্বে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। কারণ, আমরা গত প্রায় একশত বছর যাবৎ আমু নদীর পানি ব্যবহার করিনি।”

কুশতেপা খাল খননের মাধ্যমে আফগানিস্তানের অর্থনীতিক উন্নয়ন ও কৃষির সমৃদ্ধি অর্জনে অভাবনীয় পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদগণ।

মুহাম্মাদ নাবী নামে একজন অর্থনীতিবিদ বলেন, “এই অঞ্চলে বিশেষভাবে আফগানিস্তানে এই প্রকল্পটি সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক প্রকল্প। এটি মূলত শুরু হয়েছিল দাউদ খানের আমলে। এটি আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পথে একটি বড় পদক্ষেপ।”
ইমারতে ইসলামিয়ার কর্মকর্তারা কুশতেপা খাল প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের কাজ উদ্বোধনের সময় বলেছেন, এই খাল খনন সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে শস্য উৎপাদনে আফগানিস্তান স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবে ইনশাআল্লাহ্‌।

আমু নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে একচেটিয়া সুবিধা নিয়ে আসছিল পার্শ্ববর্তী দেশগুলো। এই নদীর অন্যতম অংশীদার হলেও আফগানিস্তানকে এর পানি থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছিল দীর্ঘদিন। তালিবান ক্ষমতা গ্রহণের পর পুনরায় ইমারতে ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠার পর এই নদীর পানিকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে আফগানিস্তানের কৃষিকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে কুশতেপা খাল প্রকল্পের কাজ শুরু করে। কিন্তু এরপর থেকে প্রতিবেশী দেশগুলো এটি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। তাদের এমন উদ্বিগ্নতা আসলে পানির উপর আফগানিস্তানের অধিকার হরণের নামান্তর।

উল্লেখ্য, কুশতেপা খালের প্রকল্পিত মোট দৈর্ঘ্য ২৮০ কি.মি. এবং প্রস্থ ১০০ মিটার। এটি বলখ প্রদেশের কালদার জেলা থেকে শুরু হয়ে জাওযান প্রদেশের মধ্য দিয়ে গিয়ে শেষ হবে ফারইয়াব প্রদেশের আন্দখয় জেলায়।



 

তথ্যসূত্র:

1. Islamic Emirate: Qosh Tepa Canal Will Not Infringe on Neighbors’ Water
https://tinyurl.com/2vj9auuw

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধগাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের গণহত্যা
পরবর্তী নিবন্ধগাজায় মুজাহিদদের তীব্র প্রতিরোধ, ইহুদি সেনা হতাহত