ফিলিস্তিনের গাজায় সন্ত্রাসী ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনে হতাহত হয়েছেন অন্তত ৬০,০০০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে নিহতের সংখ্যা ১৬,২০০ ছাড়িয়েছে, আহতদের সংখ্যা ৪১,০০০ হাজারেও বেশি। পাশাপাশি এখনও নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ৭,৫০০ ফিলিস্তিনি। হতাহতদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যা ৭০ শতাংশেরও বেশি।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহত ১৬,২০০ ফিলিস্তিনির মধ্যে ৬,৬০০ জন শিশু এবং ৪,৩০০ জন নারী।
জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় অন্তত ১৬৭টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সাথে অন্তত ৩,০০,০০০ এর বেশি আবাসিক ভবন ও অন্তত ৩৩৯টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় ইতোমধ্যে ২৬টি হাসপাতাল ও ৫২টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও নিহত হয়েছেন অন্তত ২০১ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১০০ জনেরও বেশি। এ সময়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬৩ জন সাংবাদিক।
ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলা ও অবরোধে দশ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। পানি, খাদ্য এবং অন্যান্য মৌলিক সরবরাহ থেকে এখনো বঞ্চিত গাজার বাসিন্দারা।
অন্যদিকে দখলকৃত পশ্চিম তীরেও চলছে ইসরায়েলের সন্ত্রাসী কার্যক্রম। এলাকাটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা এখন ২৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে, এর মধ্যে ৬১ জন শিশু। আহত হয়েছেন আরও ৩,৩৬৫ জন। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে ৩,০০০ এর বেশি ফিলিস্তিনিকে, যার মধ্যে নারী-শিশু রয়েছে।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, গাজায় প্রতি ঘণ্টায় গড়ে অন্তত ৪২টি বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি হামলায় প্রতি ঘণ্টায় অন্তত ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে অন্তত ৩৫ জন। আর প্রতি ঘণ্টায় অন্তত ১২টি ভবন ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় এমন বর্বরতা চালাতে সরাসরি সমর্থন ও অস্ত্র সহযোগিতা দিচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষভাবে আমেরিকা। অন্যদিকে ইহুদিরাও গাজায় আগ্রাসনকে শুধুমাত্র তাদের নিজেদের যুদ্ধ নয় বরং পশ্চিমা বিশ্ব ও পশ্চিমা সভ্যতার যুদ্ধ বলেও উল্লেখ্য করছে। অথচ বেশিরভাগ আরব দেশ এখনো বক্তৃতা আর বিবৃতিতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।