• ইসরায়েল গাজা থেকে ‘কিছু সেনা’ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।
• ওয়াফা নিউজ অ্যাজেন্সির তথ্য মতে, মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহতে একটি বাড়িতে জায়োনিস্টদের হামলায় ১৫জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
• আরও একজন ফিলিস্তিনি বন্দী ইসরায়েলি কারাগারে মারা গেছেন। এই নিয়ে ৭ই অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী অবস্থায় মারা গেলেন। ফিলিস্তিনিরা বলেছেন, এটা হত্যাকাণ্ড।
• গাজায় দখলদার ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২১,৯৭৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
• ২০২৪ সালের ১লা জানুয়ারি দখলদার জায়োনিস্ট বাহিনীর উপর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের চালানো হামলার বিবরণ:
আল-কাসসাম ব্রিগেড:
– উত্তর গাজার বেইত হানুনে দখলদার বাহিনীর একটি কোয়াডকপ্টার ড্রোন জব্দ করেছেন আল-কাসসাম ব্রিগেড।
– বুরেইজ ক্যাম্পে একটি বাড়িতে প্রবেশ করার সময় স্পেশাল জায়োনিস্ট বাহিনীকে সুপরিকল্পিতভাবে অতর্কিত হামলা করেছেন মুজাহিদগণ। দখলদার সৈন্যদের উপর গুলিবর্ষণ ও দুর্গবিধ্বংসী গোলা হামলা করেছেন। এতে শত্রুসৈন্যরা হতাহত হয়েছে, আর মুজাহিদগণ নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে গেছেন।
– গাজায় তুফফাহ এলাকার খলিল সামরিক অবস্থানে প্রবেশের পর দখলদার বাহিনীর একটি বিশেষ বাহিনীর উপর মাইনফিল্ড বিস্ফোরণ করেছেন মুজাহিদগণ। এতে দখলদার ১৫ সৈন্য নিশ্চিত নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
– বিভিন্ন জায়গায় শত্রুদের ২টি মারকাভা ট্যাংক এবং ৫টি সামরিক যান ধ্বংস করেছেন।
– তুফফাহ এলাকায় দখলদার সৈন্যদের প্রবেশের সময় টানেলের প্রবেশমুখে ববি-ট্র্যাপ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন।
– খান ইউনিসের উত্তরে কারারা এলাকায় একদল পদাতিক জায়োনিস্ট বাহিনীর উপর ববি ট্র্যাপ টানেল বিস্ফোরণ করেছেন মুজাহিদগণ।
– দখলদার বাহিনী একটি ভবনে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানে ববি-ট্র্যাপ বিস্ফোরণ করেছেন মুজাহিদগণ।
– তুফফাহ এলাকায় শত্রুদের সামরিক যানের অবস্থানস্থলে তানডেম রকেট ও অ্যান্টি-পার্সনেল বিস্ফোরক দিয়ে হামলা চালিয়েছেন। এতে শত্রুসেনারা হতাহত হয়েছে।
– বুরেইজ ক্যাম্পের পূর্বে এক দখলদার সেনাকে স্নাইপার হামলা চালিয়ে হত্যা করেছেন।
– খান ইউনিসের কারারা এলাকায় ৩ শত্রুসৈন্যকে টার্গেট করে বিস্ফোরক হামলা চালিয়েছেন। এতে শত্রুসৈন্যরা হতাহত হয়েছে।
– তুফফাহ এলাকার পূর্বে দখলদার বাহিনীর উপর রকেট হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ।
– তুফফাহ এলাকায় একটি ভবনের ভেতরে অবস্থান নেওয়া দখলদার সেনাদের উপর দুর্গবিধ্বংসী টিবিজি দিয়ে হামলা চালিয়েছেন। এতে শত্রুসৈন্যরা নিহত ও আহত হয়েছে।
আল-কুদস ব্রিগেড:
– বুরেইজ ক্যাম্পের পূর্ব এলাকায় বদর-১ ইরাম রকেট দিয়ে দখলদার সৈন্য ও গাড়ির উপর হামলা চালিয়েছেন।
– বিভিন্ন জায়গায় জায়োনিস্ট বাহিনীর একটি এপিসি, ২টি সামরিক যান, ১টি মারকাভা ট্যাংক এবং ২টি সামরিক ডি৯-বুলডোজার ধ্বংস করেছেন।
নাসের সালাহ আল-দ্বীন ব্রিগেড:
– খান ইউনিসে দখলদার সৈন্য ও বাহনের উপর ভারী মর্টার হামলা চালিয়েছেন।
শহীদ আবু আলী মুস্তফা ব্রিগেড:
– গাজার পূর্বে বিমানবিধ্বংসী SAM-7 মিসাইল দিয়ে দখলদার বাহিনীর একটি অ্যাপাচি হেলিকপ্টারে হামলা চালিয়েছেন। হেলিকপ্টারে সফলভাবে আঘাত হেনেছে মিসাইলটি।
মুজাহিদিন ব্রিগেড:
– আল-জায়তুনের দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় ইসরায়েলি সৈন্য ও গাড়ির উপর মর্টার হামলা চালিয়েছেন।
– তাল আল-হাওয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় দখলদার বাহিনীর সামরিক যান ও সৈন্যদের উপর মর্টার হামলা চালিয়েছেন। একইভাবে খোজাআ এলাকাতেও দখলদারদের উপর মধ্যম মানের মর্টার হামলা করেছেন।
– শুজাইয়াতে দখলদার বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে SAM-7 বিমানবিধ্বংসী মিসাইল দিয়ে হামলা করেছেন। মিসাইলটি সরাসরি হেলিকপ্টারে আঘাত করেছে।
আল-আকসা শহীদি ব্রিগেড:
– ১২০মিমি মর্টার দিয়ে দক্ষিণ গাজায় শত্রুদের অবস্থানে হামলা করেছেন।
– খান ইউনিস এবং আল-বুরেইজ শহরেও দখলদার সৈন্যদের অবস্থানে ১২০মিমি এবং ভারী মর্টার দিয়ে হামলা চালিয়েছেন।
– খান ইউনিসে দখলদার বাহিনীর সাথে বুলেট ও আরপিজি দিয়ে লড়াই করেছেন।
উমার আল-কাসেম বাহিনী:
– মধ্য খান ইউনিসে দখলদার বাহিনীর সাথে লড়াই করেছেন। শত্রু বাহিনীর একটি সামরিক যানে সফলভাবে আরপিজি হামলা চালিয়েছেন। এতে শত্রু সেনারা হতাহত হয়েছে।
– ২টি মারকাভা ট্যাংক আংশিকভাবে ধ্বংস করেছেন। শত্রুদের মাঝে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
– শেখ রেদওয়ান এলাকায় এক জায়োনিস্ট সৈন্যকে স্নাইপার হামলা করে আহত করেছেন।
জায়োনিস্টদের পরাজয় অনিবার্য
operation er video gulo apnara publish koren vai. amra to sob jaygay dekhte pari na.