পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় গত ২৪শে ডিসেম্বর দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ১০টি সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। এসকল অভিযানের মধ্যে শুধু মাদাক রাজ্যেই আশ-শাবাব পরিচালিত ৪টি অভিযানে অন্তত ৭১ সৈন্য নিহত এবং ৩৪ এরও বেশি সৈন্য আহত হয়েছে।
শাহাদাহ এজেন্সির তথ্য মতে, হারাকাতুশ শাবাবের প্রতিরোধ যোদ্ধারা এদিন তাদের সবচাইতে সফল অভিযানটি পরিচালনা করেছেন মাদক রাজ্যের আমারা শহরে। শহরটিতে তুরস্কের প্রশিক্ষিত সোমালি স্পেশাল ফোর্সের বিরুদ্ধে ৭ দফায় সংঘর্ষ হয় শাবাব যোদ্ধাদের। সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে সর্বশেষ দফায় আক্রমণটি চালানো হয়েছিল ভোরবেলায়। ইসলাম বিরোধী তুর্কি প্রশিক্ষিত এই সেনারা কিছু বুঝে উঠার আগেই শাবাব যোদ্ধারা ঘাঁটির বিভিন্ন দিকে অবস্থান নেন। আর ভোর হওয়ার কিছু সময় পূর্বেই ঘাঁটি লক্ষ্য করে সামরিক অপারেশনের ঝড় তুলেন। এতে সেনা কমান্ডারসহ অন্তত ৫০ সৈন্য নিহত হয় এবং আরও কয়েক ডজন সৈন্য আহত হয়। সেই সাথে মুজাহিদগণ কয়েকজন সেনাকে বন্দী করেন।
এদিকে শত্রু বাহিনীকে সহায়তা করতে বড় একটি সামরিক কনভয় আমারা শহরের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কনভয়টি শহরের কাছাকাছি আসের আগেই হারাকাতুশ শাবাবের অন্য একটি দল কনভয়টিতে আক্রমণ চালান। এতে সোমালি বাহিনীর ২ অফিসারসহ ৮ সৈন্য নিহত হয়। আর বাকিরা নিহত সেনাদের ফেলে রেখেই নিজেদের ক্ষত শরীর নিয়ে পালিয়ে যায়।
সফল এই অভিযান শেষে মুজাহিদগণ ঘাঁটি থেকে বেশ কিছু সাঁজোয়া যান এবং বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করেন। আর এসকল সাঁজোয়া যান ও অস্ত্রের অধিকাংশই সোমালি সরকারকে দান করেছিল তুরস্ক।
এদিন তুরস্কের প্রশিক্ষিত সোমালি স্পেশাল ফোর্সের আরও একটি বাহিনীকে টার্গেট করে অভিযান চালান মুজাহিদগণ। অভিযানটি মাদক রাজ্যের হার্দারী শহরে স্পেশাল ফোর্সের একটি সামরিক কনভয় লক্ষ্য করে চালানো হয়। আর সেখানে উভয় বাহিনীর মাঝে তীব্র লড়াই সংঘটিত হলে সোমালি বাহিনীর ১টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস এবং অন্য কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এই লড়াইয়ে হারাকাতুশ শাবাবের সামনে শত্রু বাহিনী দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি। শত্রু বাহিনীর অন্তত ১২ সৈন্য নিহত এবং আরও ২১ সৈন্য আহত হয়। একই শহরে এদিন আরও একটি অভিযান চালান মুজাহিদগণ। এতে শত্রু বাহিনীর ৩ সৈন্য নিহত হয় এবং অন্য ৭ সৈন্য আহত হয়।
উল্লেখ্য যে, এদিন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন বিনা রক্তপাতে ও যুদ্ধ ছাড়াই শাবেলি রাজ্যের দারুণ-না’আমা এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। কেননা এলাকাটিতে অবস্থানরত সোমালি সরকারি বাহিনী, হারাকাতুশ শাবাবের আগমনের আগাম সংবাদ পেয়েই এলাকাটি ছেড়ে পালিয়ে যায়।