পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর বৌঙ্গু এবং ফিদা অঞ্চলে ২টি সামরিক অপারেশন চালিয়েছেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে বুরকিনা ফাসোর জান্তা সামরিক বাহিনীর অন্তত ১০৪ সৈন্য নিহত হয়েছে।
আয-যাল্লাকা মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, গত ২৩শে ডিসেম্বর বুরকিনা ফাসোর ফিদা অঞ্চলে বুরকিনান সেনারা নিরস্ত্র বেসামরিক লোকদের বিরুদ্ধে একটি জঘন্যতম গণহত্যা চালায়। এতে ১০০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারান।
এই গণহত্যার সংবাদ পাওয়া মাত্রই আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিনের (জেএনআইএম) একটি দল দ্রুততার সাথে উক্ত অঞ্চলে পৌঁছান এবং হতাহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। সেই সাথে অন্য গ্রামগুলোর দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টাকালে গণহত্যাকারী বুরকিনান সেনাবাহিনীর পিছু ধাওয়া করতে শুরু করেন মুজাহিদগণ।
মুজাহিদগণ বুরকিনান সেনাদের ততক্ষণ পর্যন্ত ধাওয়া করতে থাকেন, যতক্ষণ না এটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং অবশিষ্ট কিছু সৈন্য ফিদা অঞ্চল ছেড়ে পলায়ন করে। মুজাহিদদের এই পদক্ষেপের ফলে বুরকিনান সেনাবাহিনীর অন্তত ৫০ সৈন্য নিহত হয়। সেই সাথে ৩টি সাঁজোয়া যান এবং ৫০টি মোটরসাইকেল ধ্বংস হয়। এছাড়াও মুজাহিদগণ শত্রু বাহিনী থেকে জব্দ করেন ২টি সাঁজোয়া যান, ৩টি পিকা, ৪টি আরপিজি, ৩০টি ক্লাশিনকোভ এবং ৫০টি মোটরসাইকেল-সহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি।
একইদিন মুজাহিদগণ সাদুগী এলাকায় বুরকিনান সেনাবাহিনীর আরও একটি হামলা প্রতিহত করেন। সাদুগী এলাকায় শত্রু সেনারা পৌঁছার আগেই এই হামলার সংবাদ পান মুজাহিদগণ। ফলে মুজাহিদগণ দ্রুততার সাথে এলাকাটিতে পৌঁছান এবং বুরকিনান বাহিনীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেন। এতে শত্রু বাহিনীর ৪ সৈন্য নিহত এবং আরও ৪ সৈন্য মুজাহিদদের হাতে বন্দী হয়। আর অন্য সৈন্যরা তাদের জীবন বাঁচাতে সাঁজোয়া যান ও অসংখ্য অস্ত্রশস্ত্র ফেলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। মুজাহিদদের এই পদক্ষেপের ফলে বেসামরিক নাগরিকরা আরও একটি গণহত্যা থেকে বেঁচে যান।
অপরদিকে গত ২৫শে ডিসেম্বর বুরকিনা ফাসোর বৌঙ্গু অঞ্চলের তাপুয়া এলাকায় আরও একটি সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন মুজাহিদগণ। উক্ত অঞ্চলে বুরকিনান সামরিক বাহিনীর সাহায্যার্থে আসা একটি সরবরাহ কনভয়কে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। মুজাহিদগণ প্রথমে কনভয়টি লক্ষ্য করে একাধিক আইইডি বিস্ফোরণ ঘটান এবং এর পরপরই চতুর্দিক থেকে আক্রমণ চালাতে শুরু করেন। এতে কয়েকটি সামরিক যান ও ট্রাক ধ্বংস হয় এবং পুড়ে যায়। এতে শত্রু বাহিনীর ৫০ সৈন্য নিহত হয় এবং আরও কয়েক ডজন সৈন্য আহত হয়।
অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি সামরিক গাড়ি ও সরবরাহ ট্রাক জব্দ করেন মুজাহিদগণ। পরে সরবরাহ ট্রাকে মজুদ খাদ্য ও মুজাহিদদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত দ্রব্য সামগ্রী উক্ত অঞ্চলের জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হয়।