সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদাহ হাফিযাহুল্লাহ নতুন আরও একটি বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে তিনি গত সপ্তাহে গাজা উপত্যকার সর্বশেষ পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন।
গত ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত উক্ত লিখিত বিবৃতিতে আবু উবাইদাহ বলেছেন যে, আল-কাসসাম যোদ্ধারা গত এক সপ্তাহের মধ্যে গাজায় জায়োনিস্ট ইসরায়েলি বাহিনীর ৬৮টি সাঁজোয়া যান সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেন যে, গত সপ্তাহে মুজাহিদগণ পয়েন্ট-ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে জায়োনিস্ট বাহিনীর অন্তত ৫৩ সৈন্যকে গুলি করে নির্মূল করেছেন। এসময় মুজাহিদগণ স্নাইপার দ্বারা আরও ৯ জায়োনিস্ট সৈন্যকে নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছেন।
মুখপাত্র আবু উবাইদাহ আরও যুক্ত করেন, গত সপ্তাহে ইসরায়েলের অন্তত ৫৭টি ব্যাটালিয়নকে মুজাহিদগণ তাদের সফল অপারেশনের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছেন। এসকল অভিযানে জায়োনিস্ট বাহিনীতে আরও কয়েক ডজন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। জায়োনিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে মুজাহিদগণ তাদের অভিযানগুলোতে মিসাইল, অ্যান্টি-বুলিং ডিভাইস, অ্যান্টি-পার্সোনেল ডিভাইস এবং মেশিনগান ব্যবহার করেছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, গত সপ্তাহে জায়োনিস্ট ইসরায়েলি বাহিনীর উপর ৪টি ভবন, ২টি টানেলের প্রবেশপথ এবং ১টি মাইনফিল্ড ধ্বসিয়ে দিয়েছেন মুজাহিদগণ। এতে ভবন ও টানেলে অবস্থান নেওয়া অসংখ্য জায়োনিস্ট সৈন্য হতাহত হয়েছে।
এমনিভাবে গত সপ্তাহে জায়োনিস্ট ইসরায়েলি বাহিনীর ২টি “স্কাইলার্ক” ড্রোন গুলি করে ধ্বংস করেছেন মুজাহিদগণ। আর ২টি কামিকাজে ড্রোন সহ ৮টি (মিনি) ড্রোন জব্দ করতে সক্ষম হয়েছেন মুজাহিদগণ।
তিনি জানান, গোটা অঞ্চল জুড়েই জায়োনিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে মুজাহিদদের প্রতিরোধ যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। মুজাহিদগণ প্রতিটি ফ্রন্টে শত্রুর বিরুদ্ধে বীরত্বের সাথে লড়ছেন। সেই সাথে মুজাহিদগণ বছরের পর বছর ধরে জায়োনিস্ট বাহিনীর দখলে থাকা ইসরায়েলের অভ্যন্তরে মর্টার শেল, স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, বিভিন্ন রেঞ্জের মিসাইল ও রকেট ব্যারেজ উৎক্ষেপণ করে যাচ্ছেন।