গত মঙ্গলবার ভোর ৬টায় মুসলিমদের ৬০০ বছরের পুরনো একটি মসজিদ বেআইনীভাবে ভেঙে ফেলেছে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির মেহরৌলিতে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে মসজিদের ইমাম মুহতারাম জাকির হুসাইন অভিযোগ করেন যে-
“ফজরের ওয়াক্তে দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (ডিডিএ) এসে আমাদের মসজিদ খালি করতে বলে। সেসময় আমার সাথে থাকা আরও কিছু ব্যক্তিকে তারা আটক করে ও আমাদের থেকে ফোন কেড়ে নেয়। এরপর মেহরৌলির রাস্তায় এনে আমাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। অতঃপর তারা মসজিদ ভাঙ্গার কাজ শুরু করে। মসজিদ ভাঙ্গার পূর্বে আমাদেরকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহের কোন সুযোগই দেওয়া হয়নি। এমনকি মসজিদের মিনার, ইট, ভেতরে রাখা ক্বুরআন ও অন্যান্য আসবাবপত্র- সবই অন্য জায়গায় মাটি খুঁড়ে চাপা দিয়ে দেওয়া হয় যেনো কেউ বুঝতে না পারে যে এখানে কিছু হয়েছিলো। এমনকি আমাদেরকে তারা ফজরের নামাজও পড়তে দেয়নি। ”
দিল্লির এই মসজিদটির নাম ‘মসজিদ আখোঞ্জি’ যা ‘জিন্নাত ওয়ালি মসজিদ’ নামেও পরিচিত। সেখানে ‘বাহরুল উলুম’ নামে একটি মাদ্রাসা ও কবরস্থানও ছিল যার পুরোটাই ধ্বংস করে দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।
ভিডিওতে ইমাম সাহেব আরও উল্লেখ করেন, “আমাদের ব্যারিকেডের বাইরে মেহরৌলির রাস্তায় এনে ছেড়ে দেওয়ার পর আমাদের খাবার-পানি কিছুই দেওয়া হয় নি। এখানে আমাদের সাথে প্রায় ২২ জনের মতো বাচ্চারা (মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা) রয়েছে যারা এখনও ক্ষুধার্ত। ”
এদিকে মসজিদ কমিটির সদস্যদের অভিযোগ, ভেঙ্গে ফেলার আগে তাদেরকে কোন নোটিশ দেওয়া হয়নি। ডিডিএ ও পুলিশের কাছে ‘কোর্ট অর্ডার’ আছে কিনা জিজ্ঞেস করলেও তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। এমনকি মসজিদ কমিটির কাছে লিগ্যাল ডকুমেন্টস থাকার পরও সেটার কোন তোয়াক্কা করেনি হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।