ভারতের চরম মুসলিমবিদ্বেষী হিন্দুত্ববাদী নেতা অমিত শাহ দিল্লির ‘ইটি নাও-গ্লোবাল বিজনেস সামিটে’ বক্তব্য রাখার সময় উল্লেখ করেছে যে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) জারি করা হবে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কী?
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ভারতের ক্ষমতাসীন চরম মুসলিম বিদ্বেষী হিন্দুত্ববাদী সরকার চালু করেছে। এই আইনের লক্ষ্য ছিলো ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশ করা মুসলিম বাদে অন্যান্য সকল ধর্মের অর্থাৎ হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান- সকল নিপীড়িত অমুসলিম অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান।
উল্লেখ্য, হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার প্রথমে এনআরসি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল, এটা ছিল ভারতীয় নাগরিকদের তলিকা প্রণয়ন। তাদের নির্ধারিত দলিল থাকলেই কেবল ভারতের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া যাবে- এমন ব্যবস্থা করেছিল তারা। তবে ভারতের মুসলিমদের একটা বড় অংশই স্বল্প শিক্ষিত বা অশিক্ষিত হওয়ায় তাদের পক্ষে এসকল দলিল জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব ছিল। কিন্তু আসামে এটি কার্যকর করলে দেখা যায় যে ১৯ লাখ মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যাবে, যার মধ্যে ১১ লাখই ছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এই সমস্যা দূর করতেই মূলত পরবর্তীতে এই সিএএ বিল প্রণয়ন করে বিজেপি সরকার, যাতে করে বাতিল হয়ে জাওয়া হিন্দুদের নাগরিকত্ব নিরাপদ রেখে মুসলিমদের নাগরিকত্ব বাতিল করা সহজ হয়।
তথ্যসূত্রঃ
1. Amit Shah says CAA will be implemented before 2024 Lok Sabha elections
– http://tinyurl.com/4wa5wbb4