সোমালি জনগণের ন্যায্য প্রতিরোধ যুদ্ধকে দমন করতে মোগাদিশু প্রশাসনকে “বায়রাক্টার টিবি-২” ড্রোন দিয়েছে তুরস্ক। আর এসব ড্রোন থেকে সম্প্রতি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিনের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে মোগাদিশু বাহিনী। এতে নিহত হচ্ছেন বেসামরিক সোমালি মুসলিমরা।
মোগাদিশু প্রশাসনের গোয়েন্দা সংস্থার অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে গত ৮ মার্চ ড্রোন হামলার একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। এতে দাবি করা হয় যে, হামলাগুলো শাবাব মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে TB2 ব্যবহার করে চালানো হয়েছিল।
ভিডিওতে বেসামরিক যানবাহন ও কৃষকদের লক্ষ্যবস্তু করতে দেখা গেলেও মোগাদিশু প্রশাসন দাবি করে যে, হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলো প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব।
তবে স্বাধীন সূত্র নিশ্চিত করে যে, মোগাদিশু প্রশাসনের দাবিকৃত হামলাগুলো মূলত বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করেই সবচেয়ে বেশি চালানো হচ্ছে। গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায়ও প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণাঞ্চলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে মোগাদিশু বাহিনী। হামলাটি উক্ত অঞ্চলের উগুনজি এলাকায় কাজ শেষে ফেরার পথে একদল কৃষকের উপর চালানো হয়েছে। এতে ৫ জন কৃষক মারা যান এবং আরও কয়েকজন আহত হন। পরে মোগাদিশু বাহিনীর ড্রোন হামলায় প্রাণ হারানো বেসামরিক নাগরিকদের একাধিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়।
বর্তমানে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর তুরস্ক সবচেয়ে সক্রিয়ভাবে শাবাব মুজাহিদদের বিরুদ্ধে মোগাদিশু সরকারকে ড্রোন হামলায় সমর্থন দিয়ে আসছে। এই লক্ষ্য তুরস্ক শাবাবের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য মোগাদিশু প্রশাসনকে Bayraktar TB2 দিচ্ছে।
সোমালিয়ায় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনীর বিরুদ্ধে তুরস্কের এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে টুইটারে একজন তুর্কি নাগরিক লিখেন, ❝তুরষ্ক তালিবানকে ওহাবি এবং সন্ত্রাসী বলতো, তারা ২০ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সাথে একত্রে তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে এবং যুদ্ধে হেরেছে। তারপর হঠাৎ করেই সবাই তালিবানপ্রেমী হয়ে গেল। আশ-শাবাবের সাথেও তাই হবে, যখন তাঁরা সম্পূর্ণভাবে সোমালিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিবেন।❞